ঢাকা মহানগর যুবদল দক্ষিণের সভাপতি মজনুকে আটকের অভিযোগ
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সভাপতি রফিকুল আলম মজনুকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আটক করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রেস ব্রিফিং এ এই অভিযোগ করেন।
রিজভীর ভাষ্য, রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত জাতীয়তাবাদী যুবদলের সমাবেশ শেষে বাসায় ফেরার পথে মৎস্য ভবন এলাকা থেকে রফিকুলকে আটক করা হয়।
রিজভী আরও অভিযোগ করেন, রফিকুল ছাড়াও জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশ থেকে বাসায় ফেরার পথে যুবদলের আরও কয়েকজন নেতা-কর্মী,এরা হলেন- নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব, ফতুল্লা ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক আবু খালেক টিপু, বন্দর থানা যুবদল নেতা মাহবুব, রুপনগর থানা যুবদলের সহ-প্রচার সম্পাদক মোঃ ফাহিম, সূত্রাপুর থানা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক সৌরভ রাসেল, কামরাঙ্গীর চর থানা যুবদলের সদস্য দিলগণি, কাফরুল থানা যুবদল নেতা মোঃ ওয়াহিদ, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা যুবদল নেতা তরিকুল ইসলাম রুবেল, যুবদল নেতা আব্দুল মান্নান, আব্দুর রাজ্জাক, মোঃ সাগর, ঢাকা জেলা ধামরাই থানা যুবদল নেতা মোঃ শিপলু, মোশাররফ হোসেন ও কেরানীগঞ্জ থানা যুবদল নেতা মোঃ রুবেলসহ প্রায় ২০ জনের অধিক নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এমনকি সভাস্থলে উপস্থিত বিএনপি’র সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সাথেও পুলিশ অসদাচরণ করে।
রিজভীর অভিযোগের বিষয়ে জানতে পুলিশের রমনা জোনের সহকারী কমিশনার এস এম শামীমের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে প্রথম আলো। কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি।
কারাবন্দী অবস্থায় লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যু এবং নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষকালে গুলিতে সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন নিহত হওয়ার প্রতিবাদে আজ সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ করে যুবদল।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে লেখক মুশতাক ১০ মাস ধরে কারাগারে বন্দী ছিলেন। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি রাতে তিনি কারাগারে মারা যান।১৯ ফেব্রুয়ারি নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় আওয়ামী লীগের বিবদমান দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন।