সিডনির লকডাউন আরও ১ মাস বাড়ল
–
অস্ট্রেলিয়ার সিডনি শহর। ফাইল ছবি: রয়টার্স
চার সপ্তাহের বেশি সময় টানা লকডাউনের পরও করোনার সংক্রমণ কমেনি অস্ট্রেলিয়ার সিডনি শহরে। এর জেরে শহরটিতে চলমান বিধিনিষেধ আরও এক মাস বাড়ানো হয়েছে। সিডনিতে লকডাউন চলবে আগামী ২৮ আগস্ট পর্যন্ত।
সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়, করোনার ডেলটা ধরন ছড়িয়ে পড়ার পর গত জুনের শেষ দিকে সিডনিতে কঠোর বিধিনিষেধ জারি করা হয়। পরে তা কয়েক ধাপে বাড়ানো হয়। চলমান লকডাউন আগামী শুক্রবার শেষ হওয়ার কথা ছিল। এদিকে সংক্রমণের হার কমে আসার কারণে আজ বুধবার থেকে ভিক্টোরিয়া রাজ্য ও দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ায় লকডাউন তুলে নেওয়া হয়েছে।
করোনার সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা নিউ সাউথ ওয়েলসে। রাজ্যটির প্রিমিয়ার গ্লাডিস বেরেজিকলিয়া বলেন, পরিকল্পনা অনুযায়ী আগামী শুক্রবার সিডনিতে লকডাউন শেষ হচ্ছে না। সংক্রমণের হার শূন্যের কাছাকাছি না আসা পর্যন্ত লকডাউন তুলে নেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
এর আগে লকডাউন তুলে নেওয়ার দাবিতে গত শনিবার সিডনি শহরে রাস্তায় নামেন হাজার হাজার মানুষ। মেলবোর্ন ও ব্রিসবেন শহরেও হয় বিক্ষোভ। এ সময় প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভকারীদের স্লোগান দিতে দেখা যায়। এগুলোর মধ্যে একটি প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, ‘মাস্ক খুলুন, আপনার আওয়াজ তুলে ধরুন।’ আরেকটি প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, ‘জেগে ওঠো অস্ট্রেলিয়া’। সেখান থেকে ৫৭ জনকে আটক করা হয়। ওই বিক্ষোভে জনসমাবেশের কারণে আবার সংক্রমণ বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছিল।
নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যে আজ করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৭৭ জনের শরীরে। ২০২০ সালের মার্চের পর এটিই ছিল প্রদেশটিতে সর্বোচ্চ শনাক্তের সংখ্যা। চলতি বছরে শুধু সিডনিতেই ২ হাজার ৫০০ জনের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
অস্ট্রেলিয়ায় করোনা শনাক্তের পর থেকে এখন পর্যন্ত ৩৩ হাজার ৪৭৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন। আর মৃত্যু হয়েছে ৯২২ জনের। দেশটিতে করোনা সংক্রমণের হার বৃদ্ধির জন্য দায়ী করা হচ্ছে মূলত টিকাদানের ঘাটতিকে। দেশটিতে করোনার টিকা পেয়েছেন মাত্র ১৬ শতাংশ মানুষ। এ নিয়ে তুমুল বিতর্কের মুখে পড়েছে অস্ট্রেলিয়া সরকার।