আফগানিস্তান পরিস্থিতির সর্বশেষ-
কাবুল বিমানবন্দরে ফাঁকা গুলি মার্কিন সেনাদের
বহু মানুষ একটি ফ্লাইটে ওঠার চেষ্টা করলে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয় কাবুল বিমানবন্দরে। এসময় এখনও বিমানবন্দরটি নিয়ন্ত্রণ করা মার্কিন সেনারা ফাঁকা গুলি করেন। বার্তা সংস্থা এএফপিকে একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, এখানে আমার খুব ভয় লাগছে। তারা আকাশের দিকে অনেক গুলি ছুঁড়ছে। রয়টার্সকে একজন কর্মংকর্তা বলেন, জনতা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। বিশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে আনতেই ফাঁকা গুলি করা হয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া অনেকগুলো ভিডিওতে গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। বিবিসি’র রিপোর্টে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের বিমানগুলোয় কূটনৈতিক কর্মীদের আগে সরিয়ে নিতে অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে, যা বিশৃঙ্খলা আর বিভ্রান্তি আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
শান্ত কাবুল, প্রতিটি চেকপয়েন্টে তালেবান
উদ্বেগের রাত শেষে সকাল হয়েছে কাবুলে।প্রতিটি চেকপয়েন্টে মোতায়েন রয়েছে তালেবান সদস্যরা। কাবুল থেকে আল জাজিরার সংবাদদাতা বলেছেন, বিস্ময়করভাবে কাবুল শান্ত। তালেবানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গ্রুপটির এক হাজার সদস্য বিভিন্ন চেকপয়েন্টে মোতায়েন রয়েছে। কাবুল পরিস্থিতি স্বাভাবিক।
তালেবান বলছে যুদ্ধ শেষ হয়ে গেছে
আফগানিস্তানের ওপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার পর তালেবান বলছে, আফগানিস্তানে যুদ্ধ শেষ হয়েছে। তালেবানের রাজনৈতিক কার্যালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ নায়েম কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন। মোহাম্মদ নায়েম বলেন, আফগানিস্তানের সব রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে আলোচনায় বসার জন্য তালেবান প্রস্তুত। আফগান রাজনৈতিক নেতাদের প্রয়োজনীয় সুরক্ষার নিশ্চয়তাও দেবে তালেবান। তালেবান বিচ্ছিন্নভাবে থাকতে চায় না। তারা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক চায়। আফগানিস্তানের শাসনপদ্ধতি ও সরকার গঠনের বিষয়টি খুব শিগগির স্পষ্ট হবে বলে জানান তিনি। তালেবানের ওই মুখপাত্র বলেন, শরিয়া আইনের ভেতরে তাঁরা নারী ও সংখ্যালঘুদের অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। একই কথা মতপ্রকাশের অধিকারের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।