ঝালকাঠিতে বিএনপি র সম্মেলনে পুলিশ ও আওয়ামীলীগের যৌথ হামলায় মহাসচিবের নিন্দা প্রকাশ

আজ বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাডভোটেক বিলকিস জাহান শিরিন এবং সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুল হক নান্নু’র উপস্থিতিতে ঝালকাঠি জেলার সদর উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন চলাকালীন সময়ে পুলিশ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা যৌথভাবে হামলা চালিয়ে স্থানীয় বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের আসবাবপত্র ভাংচুর ও অনুষ্ঠান পন্ড করে অনেক নেতাকর্মীদের আহত করেছে।এই ন্যাক্কারজনক ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আজ এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, “জনগণকে সাথে নিয়ে বর্তমান আওয়ামী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার বিএনপির নেতৃত্ব ধ্বংস করতেই অবৈধ সরকার তাদের অনুগত আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও দলীয় সন্ত্রাসীদের দিয়ে বিএনপির যেকোন শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির ওপর নিষ্ঠুর ও পৈশাচিক হামলা অব্যাহত রেখেছে।”

তিনি বলেন,”আজ ঝালকাঠি জেলাধীন সদর উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে পুলিশ এবং আওয়ামী সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা যৌথভাবে হামলা চালিয়ে দলীয় কার্যালয়ের আসবাবপত্র ভাংচুর ও অনুষ্ঠান পন্ডসহ বিএনপি নেতাকর্মীদেরকে আহত করার ঘটনা তারই ধারাবাহিকতা। দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক ও মৌলিক অধিকার এখন বর্তমান সরকারের নির্যাতন-নিপীড়ণে ক্ষতবিক্ষত। আইনের শাসন না থাকায় ঘরে-বাইরে কারো ন্যূনতম নিরাপত্তা নেই। বিএনপিসহ বিরোধী দলের আন্দোলনকে স্তদ্ধ করতে এবং বিরোধী নেতাকর্মীসহ সাধারণ নাগরিকের মনে ভীতি সঞ্চার করতেই ফ্যাসিবাদী কায়দায় ধারাবাহিকভাবে সরকারি জুলুম-নির্যাতন অব্যাহত রাখা হয়েছে। তবে অতীতে যেমন কোন স্বৈরশাসক বিরোধী নেতাকর্মীদের ওপর জুলুম চালিয়ে নিজেদের ক্ষমতা কুক্ষিগত রাখতে সক্ষম হয়নি, বর্তমান শাসকগোষ্ঠীও গণতন্ত্রকামী মানুষকে নিরস্ত করতে পারবে না। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি সরকারি জুলুম-নির্যাতনকে পরোয়া না করে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা জনগণকে সাথে নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে সংগ্রামে আরও বেশী দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ হবে।”