শ্রীলঙ্কায় আবার জরুরি অবস্থা
প্রতিবাদ বিক্ষোভে প্রকম্পিত শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাত থেকে আবার জরুরি অবস্থা জারি করেছেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে আইন-শৃংখলা ও নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে ব্যাপক ক্ষমতা দিতে এ নিয়ে গত পাঁচ সপ্তাহের মধ্যে দেশটিতে দ্বিতীয় দফা জরুরি অবস্থা জারি হলো।
শুক্রবারই সরকারের পদত্যাগের দাবিতে ট্রেড ইউনিয়নগুলোর ডাকা ধর্মঘটে অচল হয়ে পড়ে গোটা শ্রীলঙ্কা। ধর্মঘটের কারণে দেশটির দোকানপাট, বহু অফিস, স্কুল ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে।
বন্ধ ছিল বাস ও ট্রেন চলাচলও।
খাদ্য, জ্বালানি ও ওষুধসহ নিত্যপণ্যের গুরুতর সংকটের কারণে শ্রীলঙ্কায় এক মাসের বেশি সময় ধরে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ চলছে। ১৯৪৮ সালে স্বাধীনতা পাওয়ার পর থেকে এমন সংকটের মুখে কখনো পড়েনি দ্বীপদেশটি। জনগণ এই সংকটের জন্য সরকারের অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করছে। চরম অজনপ্রিয় হয়ে পড়েছে প্রভাবশালী রাজাপক্ষে পরিবার।
চালকসহ লাখো শ্রমিক ধর্মঘটে যোগ দেওয়ায় গণপরিবহন বন্ধ হয়ে যায়। সকালে রাজধানী কলম্বোর প্রধান রেলস্টেশন বন্ধ ছিল। এর কাছের টার্মিনাল থেকে হাতে গোনা সরকারি বাস চলাচল করে।
ধর্মঘটে অংশ নেওয়া শ্রমিকরা কালো পতাকা হাতে কারখানার সামনে অবস্থান নিয়ে সরকারের পদত্যাগের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন। স্বাস্থ্যসেবাকর্মীরাও ধর্মঘটে যোগ দেন। তবে জরুরি স্বাস্থ্যসেবা অব্যাহত ছিল।
ট্রেড ইউনিয়নের নেতা রবি কুমুদেশ বলেন, ‘প্রেসিডেন্টের ভুল সিদ্ধান্ত আমাদের অর্থনীতিকে এমন সংকটের দিকে ঠেলে দিয়েছে। তাঁকে যেতেই হবে। ’
তবে প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে বলেছেন, বিক্ষোভ সত্ত্বেও তিনি পদত্যাগ করবেন না।
এদিকে গতকাল বিক্ষোভ প্রদর্শন করে শিক্ষার্থীরাও। পার্লামেন্টের অধিবেশন মুলতবি হওয়ার পর সেখানে হামলার চেষ্টা করে কয়েক হাজার ছাত্র। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তাদের ওপর কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে পুলিশ। সূত্র: বিবিসি ও এএফপি