‘সিনিয়র-জুনিয়র’ দ্বন্দ্বে কিশোর খুন

রাজধানীর মান্ডায় আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় হাসান (১৭) নামের এক কিশোরকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। হাসান মুগদার একটি ছাপাখানায় কাজ করত। স্থানীয় কিশোর গ্রুপের দ্বন্দ্বের জের ধরে হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে।

পুলিশ জানায়, হাসানের সঙ্গে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসা বেলাল হোসেন (১৮) নামের এক তরুণকে আটক করা হয়েছে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তিনি বলেছেন, সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। হামলাকারীরা সিনিয়র এবং ব্যান্ডেজ গ্রুপের সদস্য। আটক কিশোর নিজেও ব্যান্ডেজ গ্রুপের সদস্য।  
মুগদা থানার পুলিশ জানায়, আজ সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে বাসা থেকে হাসানকে স্থানীয় কয়েকজন কিশোর মান্ডা লেটকা ফকিরের গলিতে ডেকে নিয়ে যায়।

একপর্যায়ে তাদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হলে তারা হাসানকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে। হাসানের পেটে ও গলায় গুরুতর জখম হয়। স্বজনদের সঙ্গে হামলাকারী এক তরুণ রক্তাক্ত অবস্থায় হাসানকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক হাসানকে মৃত ঘোষণা করেন। হাসান সপরিবার মান্ডার লেটকা ফকিরের গলিতে থাকত। তার বাড়ি কুমিল্লার দেবীদ্বার থানার বারারা গ্রামে। তিন ভাই এক বোনের মধ্যে সে দ্বিতীয় ছিল।

হাসপাতালে হাসানের ভাই মো. হাবীব উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, মান্ডা এলাকার ব্যান্ডেজ গ্রুপের কয়েকজন কিশোর হাসানকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে। খবর পেয়ে হাসানকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হয়। কী কারণে কেন হাসানকে হত্যা করা হয়েছে, তা তিনি জানেন না। তিনি হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের দাবি জানান।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ বক্সের পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে আটক তরুণ দাবি করেছেন, নিহত হাসান জুনিয়র গ্রুপের সদস্য।

জুনিয়র গ্রুপের সদস্যরা প্রথমে ব্যান্ডেজ গ্রুপের ওপর হামলা চালায়। তখন হাসানের কাছ থেকে ছুরি কেড়ে নিয়ে ব্যান্ডেজ গ্রুপের সদস্যরা হাসানকে ছুরিকাঘাত করে। আটক তরুণকে মুগদা থানায় সোপর্দ করা হচ্ছে।

পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার নুরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, স্থানীয় কিশোর গ্রুপের দ্বন্দ্বের জের ধরে হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *