দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে হাজি সেলিমের আপিলের রায় ৯ মার্চ

দুর্নীতির মামলায় ১৩ বছরের কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের সাংসদ হাজি সেলিমের করা আপিলের ওপর ৯ মার্চ রায় দেবেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বুধবার আপিলের ওপর শুনানি শেষে রায়ের ওই দিন ধার্য করেন।

গত বছরের ১১ নভেম্বর হাইকোর্ট ওই মামলার বিচারিক আদালতে থাকা যাবতীয় নথি (এলসিআর) তলব করেন। ওই নথি হাইকোর্টে এসে পৌঁছে। এর ধারাবাহিকতায় পেপারবুক থেকে উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে ৩১ জানুয়ারি হাজি সেলিমের আপিলের ওপর পুনরায় শুনানি শুরু হয়।

আদালতে দুদকের পক্ষে আইনজীবী খুরশীদ আলম খান এবং হাজি সেলিমের পক্ষে আইনজীবী আবদুল বাসেত মজুমদার ও সাঈদ আহমেদ শুনানিতে ছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল তামান্না ফেরদৌস।

পরে সাঈদ আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, হাজি সেলিমের আপিলের ওপর পুনরায় শুনানি শেষে হাইকোর্ট ৯ মার্চ রায়ের জন্য তারিখ ধার্য করেন।

অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালে হাজি সেলিমের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় মামলা করে দুদক। এ মামলায় ২০০৮ সালের ২৭ এপ্রিল বিচারিক আদালতের রায়ে হাজি সেলিমের ১৩ বছরের কারাদণ্ড ও ২০ লাখ টাকা জরিমানা হয়। এর বিরুদ্ধে তিনি হাইকোর্টে আপিল করেন। ২০১১ সালের ২ জানুয়ারি হাইকোর্ট হাজি সেলিমের সাজা বাতিল করে রায় দেন। খালাস পান হাজি সেলিম। তবে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে দুদক আপিল বিভাগে আবেদন করে। দুদকের করা আপিলের শুনানি নিয়ে ২০১৫ সালের ১২ জানুয়ারি আপিল বিভাগ হাইকোর্টের দেওয়া রায় বাতিল করেন।

কই সঙ্গে হাইকোর্টে আপিল (হাজি সেলিমের) শুনানি করতে বলা হয়। এ মামলায় হাজি সেলিম জামিনে আছেন। হাইকোর্টে ওই মামলায় দুদকের পক্ষে লড়তে আইনজীবী খুরশীদ আলম খানকে গত ৮ নভেম্বর নিয়োগ দেওয়া হয়। এরপর দুদকের আইনজীবী আপিল শুনানির দিন ধার্যের জন্য বিষয়টি হাইকোর্টের ওই বেঞ্চে উত্থাপন করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *