আওয়ামী লীগই গণতন্ত্রকে বারবার হত্যা করেছে: মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গণতন্ত্রকে হত্যা করছে কারা? আওয়ামী লীগই গণতন্ত্রকে বারবার হত্যা করেছে।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল ইসলাম এ কথা বলেন। বিজ্ঞাপন

মির্জা ফখরুল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের উদ্দেশে প্রশ্ন করেন, ‘যে সংবিধান ১৯৭২ সালে আপনাদের দ্বারা তৈরি, সেই সংবিধানকে কেটে–ছিঁড়ে সবকিছু শেষ করে দিয়েছে কে? আওয়ামী লীগ, আপনারা। যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য আপনারা ১৭৩ দিন হরতাল করলেন, লগি-বইঠা দিয়ে মানুষকে মারলেন, বুকের ওপরে উঠে নাচলেন, সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার কে সরাল? আওয়ামী লীগ, এই শেখ হাসিনা, প্রধানমন্ত্রী। মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিলেন আপনারা।’
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪০তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘জনগণ ভোটের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক উপায়ে সরকার নির্বাচন করবে, সেই অধিকারই তো এখন নেই। শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। আমি তাদের আবারও বলছি, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান আবার আনুন। শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের পথ রুদ্ধ করবেন না। তার পরিণতি গোটা বিশ্বের জানা। এর ফল খুব খারাপ।’

দলের নেতা-কর্মীদের ‘আশাহত’ না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের মধ্যে অনেকে বলে, কী ভাই, কিছু হবে? এটা যখনই মনে করবেন, তখনই বুঝবেন যে আপনি শেষ। একজন মানুষ মরে যায় কখন? সে যখন আশা হারায়। হোপস, এই হোপস নিয়ে আমাদের থাকতে হবে। একটি সত্য আপনাদের মনে রাখতে হবে, এই দেশের শতকরা ৯০ জন মানুষ আপনাদের পক্ষে আছে। আমরা বিশ্বাস করি, আমরা ঠিক পথে থাকলে বিজয় আমাদের অনিবার্য

আন্দোলনের প্রসঙ্গ টেনে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘এখন সবাই নেতা, সবাই স্টেজে বক্তৃতা করতে চায়। কেউ কর্মী হতে চায় না। মিছিলের শেষে কেউ থাকতে চায় না। সবাই যদি নেতা হয়, মাঠের কর্মী হবে কে? বিএনপিতে শতকরা ৮০ জন নেতা। ২০ আছে কর্মী। এ রকম হলে আন্দোলনে আপনি সফল হবেন কীভাবে?’

ঢাকা মহানগর উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুনশি বজলুল বাসিতের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আবদুস সালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম আজাদ, ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক আবদুল আলিম প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *