সংসদে আলোচনা
টাকা পাচার ঠেকানো যাচ্ছে না
বিরোধী দলের সদস্যরা বলেছেন, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বিমা খাতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কর্তৃত্ব নেই। অবাধে চলছে সব।
দেশ থেকে টাকা পাচারের বিষয়টি এখন আর কেউ অস্বীকার করেন না। শুধু কারা বেশি টাকা পাচার করেন, এ নিয়ে বিতর্ক হয়। গত বছরের ১৮ নভেম্বর ঢাকায় ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, রাজনীতিবিদেরা নন, বিদেশে বেশি অর্থ পাচার করেন সরকারি চাকরিজীবীরা। তাঁর এই বক্তব্যের প্রায় সাড়ে ছয় মাস পর জাতীয় সংসদের চলতি বাজেট অধিবেশনে টাকা পাচার বন্ধে জোরালো দাবি উঠেছে।
বিদেশে টাকা পাচার বন্ধে জোরালো পদক্ষেপ নিতে গত রোববার জাতীয় সংসদে দাবি তুলেছিলেন সরকারি দলেরই এক সাংসদ। আর গতকাল সোমবার বিরোধী দলের সদস্যরা বলেছেন, দেশ থেকে টাকা পাচার ঠেকানোর কোনো পথ সরকার বের করছে না। পাচার করা টাকাও ফিরিয়ে আনতে পারছে না। কেউ টাকা পাচার করছেন আন্ডারইনভয়েসিং (দাম কম দেখিয়ে পণ্য রপ্তানি) এবং ওভারইনভয়েসিংয়ের (আমদানিতে দাম বেশি দেখিয়ে) নামে। আবার কেউ পাচার করছেন অবৈধভাবে হুন্ডির মাধ্যমে।