অন্যান্য দেশ আমাদের খাবার খেয়ে নিচ্ছে: ট্রাম্প

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তাঁর দেশ যুক্তরাষ্ট্র একটা সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। অন্যান্য দেশ তাঁদের খাবার খেয়ে নিচ্ছে। তারা সীমান্তসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রকে ধ্বংস করছে। ২২ জুন জাস্ট দ্য নিউজ নামের সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প এসব কথা বলেন।

ট্রাম্প দম্ভের সঙ্গে আবার বলেছেন, তিনি গত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পরাজয় মেনে নেননি। গত নির্বাচনের পর বিজয়ী কোনো প্রেসিডেন্টকে তিনি অভিনন্দনও জানাননি। বিরোধপূর্ণ ফলাফলকে তৎকালীন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স অঙ্গরাজ্যের আইনসভায় ফেরত পাঠালে পরিস্থিতি ভিন্ন হতো। সম্ভবত নয়, অবশ্যই এখন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে তাঁকে দেখা যেত।

আগে সাংবাদিক সেইন হেনরিকে দেওয়া এক পৃথক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, ‘নির্বাচনে জয়ের জন্য আমার প্রয়োজন ছিল ৬ কোটি ৪ লাখ ভোট। দুঃখজনক হলেও সত্য যে ৭ কোটি ৫০ লাখ ভোট পাওয়ার পরও আমাকে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে।

ট্রাম্পের সমর্থকদের একটা প্রচারণা আমেরিকায় চলমান আছে। আর তা হলো আগামী আগস্টে মাসে ট্রাম্প আবার ক্ষমতায় ফিরে আসছেন। সম্পূর্ণ আজগুবি এ প্রচারণা ট্রাম্প নিজেও নানা বক্তব্যের মাধ্যমে জিইয়ে রাখছেন। জাস্ট দ্য নিউজ এ ব্যাপারে প্রশ্ন করলে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি এ নিয়ে এখনই কোনো মন্তব্য করতে রাজি নই। দেখি কী হয়!’

নির্বাচনে যদি জালিয়াতি হয়ে থাকে, তবে বিষয়টি তাঁর ওপর নয়, জনগণের ওপর নির্ভর করছে বলে মন্তব্য করেন ট্রাম্প। গত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নজিরবিহীন লাখ লাখ ভুতুড়ে ভোট পাওয়া গেছে বলে আবার দাবি করেন তিনি।

আমেরিকার ট্রাম্প-সমর্থক রক্ষণশীলদের মধ্যে আরেকটি প্রচারণা হালে বেশ জোর পাচ্ছে। মধ্যবর্তী নির্বাচনের মাধ্যমে আগামী বছরই ট্রাম্প কংগ্রেসের স্পিকার হতে পারেন বলে বলা হচ্ছে। এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে জবাবে ট্রাম্প বলেন, তিনি নিজেও এমন কথা শুনেছেন। তবে এমন কোনো চিন্তা তাঁর বিবেচনায় নেই।

সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য আমেরিকার সুখ্যাতি ছিল সব সময়। কিন্তু গত নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সারা বিশ্ব দেখেছে, আমেরিকার নির্বাচন আর অবাধ ও নিরপেক্ষ নেই।

পেন্স সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে ট্রাম্প বলেন, তিনি পেন্সকে সব সময়ই পছন্দ করে আসছিলেন। তবে নির্বাচনের ফলাফল কংগ্রেস থেকে অঙ্গরাজ্যের আইনসভায় না পাঠানোর জন্য তিনি পেন্সের ওপর চরম অসন্তুষ্ট।

ট্রাম্প বলেন, তিনি মনে করেন, ভোটের ফলাফলকে অঙ্গরাজ্য পর্যায়ে ফেরত পাঠানোর ক্ষমতা পেন্সের ছিল। আর পেন্সের তা করাও উচিত ছিল। এমনটা হলে ফলাফল ভিন্ন হতো।

সুপ্রিম কোর্টের দুজন রক্ষণশীল বিচারপতি নিয়েও কথা বলেন ট্রাম্প। তাঁরা ওবামাকেয়ার বাতিলের মামলায় উদারনৈতিক বিচারপতিদের সঙ্গে একমত হয়ে রায় দিয়েছেন। ট্রাম্প বলেন, তিনি এই বিচারপতিদের সাম্প্রতিক কিছু সিদ্ধান্তে খুবই অসন্তুষ্ট। অথচ তাঁদের মনোনয়নের জন্য তিনি অনেক লড়েছেন।

২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দাঁড়াবেন কি না, এমন প্রশ্নের সরাসরি কোনো উত্তর দেওয়া এড়িয়ে যান ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘পরিস্থিতির দিকে নজর রাখুন। দেখা যাক কী হয়!’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *