গ্রুপসেরা হয়ে শেষ ষোলোয় ইংল্যান্ড
চেক প্রজাতন্ত্রের জালে গোলের পর রহিম স্টার্লিংয়ের উদযাপন।ছবি: রয়টার্স
ইউরোর শেষ ষোলোয় ওঠা মোটামুটি নিশ্চিত ছিল ইংল্যান্ডের জন্য। চেক প্রজাতন্ত্রের বিপক্ষে ম্যাচের আগে প্রশ্ন ছিল, ‘ডি’ গ্রুপ থেকে গ্যারেথ সাউথগেটের দল কীভাবে শেষ ষোলোয় উঠবে, গ্রুপসেরা নাকি দ্বিতীয় সেরা দল হিসেবে?
ওয়েম্বলিতে আজ চেক প্রজাতন্ত্রকে ১-০ গোলে হারিয়ে সে হিসেব মিলিয়ে নিল ইংল্যান্ড। ৩ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে বি গ্রুপের সেরা দল হিসেবে শেষ ষোলোয় উঠল সাউথগেটের দল। ১২ মিনিটে ইংল্যান্ডকে জয়সূচক গোলটি এনে দেন উইঙ্গার রহিম স্টার্লিং।
তবে গ্রুপের সেরা দল হয়ে শেষ ষোলোয় ওঠায় কোয়ার্টার ফাইনালের টিকিট পাওয়ার লড়াইয়ে শক্ত প্রতিপক্ষই পাচ্ছে ইংল্যান্ড। শেষ ষোলোয় ‘এফ’ গ্রুপ থেকে জার্মানি, পর্তুগাল কিংবা ফ্রান্সের মধ্যে যেকোনো এক দলের মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড।
কাগজে-কলমে এফ গ্রুপ থেকে হাঙ্গেরিরও সম্ভাবনা আছে, সেজন্য অবিশ্বাস্য কিছু ঘটতে হবে গ্রুপটির শেষ রাউন্ডের ম্যাচে।
ইংল্যান্ডের কাছে হারে তৃতীয় দল হিসেবে ‘ডি’ গ্রুপের খেলা শেষ করল চেক প্রজাতন্ত্র। ৩ ম্যাচে তাদের সংগ্রহ ৪ পয়েন্ট। ছয়টি গ্রুপে তৃতীয় হওয়া ছয় দলের মধ্যে শীর্ষ চারে থেকে শেষ ষোলোয় উঠল চেক প্রজাতন্ত্র।
ম্যাচের ২ মিনিটে চেক প্রজাতন্ত্রের গোলপোস্টে বল মেরে ইংল্যান্ডের লক্ষ্য বুঝিয়ে দেন স্টার্লিং। চেক গোলকিপারের মাথার ওপর দিয়ে সিটি তারকার ‘চিপ’ গোলপোস্টে লেগে প্রতিহত হয়। ডান প্রান্ত দিয়ে ইংল্যান্ড উইঙ্গার বুকায়েকো সাকা দারুণ এক দৌড়ে বল নিয়ে যান চেকদের বিপদসীমায়। তাঁর ক্রস থেকে বাঁ প্রান্তে বল পেয়ে যান মিডফিল্ডার জ্যাক গ্রিলিশ। অ্যাস্টন ভিলা তারকার বাতাসে ভাসানো বলে হেড করে ১২ মিনিটে গোল এনে দেন স্টার্লিং।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী মোটামুটি তখনই নিশ্চিত হয়ে যায়, এই ম্যাচ জিতছে ইংল্যান্ড। ওয়েম্বলিতে প্রতিদ্বন্দ্বীতামূলক ম্যাচের প্রথমার্ধে গোল পেয়ে ইংল্যান্ড শেষ ৩০ ম্যাচ জিতেছে। শেষ ষোলোয় ওয়েম্বলিতেই ‘এফ’ গ্রুপের রানার্স আপ দলের মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড। চেক প্রজাতন্ত্রের প্রতিপক্ষ এখনো নিশ্চিত হয়নি।
একই সময়ে শুরু হওয়া অন্য ম্যাচে ক্রোয়েশিয়া ৩-১ গোলে স্কটল্যান্ডকে হারানোয় গ্রুপের দ্বিতীয়স্থান থেকে তৃতীয়স্থানে নেমে যায় চেকরা। দ্বিতীয়স্থানে উঠে এসে ‘ডি’ গ্রুপের রানার্স আপ দল হিসেবে সরাসরি শেষ ষোলোয় উঠেছে ক্রোয়াটরা।
এই নিয়ে টানা তৃতীয় ম্যাচে শুরুর দিকে বল গোলপোস্টে লাগিয়ে গোলবঞ্চিত হলো ইংল্যান্ড। গ্রিলিশ, সাকা ও হ্যারি কেইন প্রথমার্ধে চাপ তৈরি করেন চেকদের রক্ষণে। কেইনের দারুণ এক শট এই অর্ধে রুখে দেন চেকদের গোলকিপার টমাস ভালিক। প্রথমার্ধে চেকরাও গোলের সুযোগ পেয়েছিল। রাইটব্যাক টমাস হোলসের শট রুখে দেন ইংল্যান্ড গোলকিপার জর্ডান পিকফোর্ড।
তবে প্রথমার্ধ শেষের ৫ মিনিট আগে অফসাইডের কারণে গোলবঞ্চিত হন ইংল্যান্ডের জর্ডান হেনডারসন। বিরতির পর তেমন আক্রমণ করতে পারেনি দুই দল। মাঝমাঠে বল দখলের লড়াই এবং বিচ্ছিন্ন সব আক্রমণ হয়েছে। দুই অর্ধ মিলিয়ে চেকদের গোলপোস্ট তাক করে নেওয়া ৫টি শটের মধ্যে ৩টি শট রাখতে পেরেছে ইংল্যান্ড। চেকরা ৭টি শট নিয়ে রাখতে পেরেছে ১টি।
ইংল্যান্ডের কাছে হারে তৃতীয় দল হিসেবে ‘ডি’ গ্রুপের খেলা শেষ করল চেক প্রজাতন্ত্র। ৩ ম্যাচে তাদের সংগ্রহ ৪ পয়েন্ট। ছয়টি গ্রুপে তৃতীয় হওয়া ছয় দলের মধ্যে শীর্ষ চারে থেকে শেষ ষোলোয় ওঠার সম্ভাবনা টিকে রইল চেকদের জন্য।