নেতা-কর্মীদের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান কাদেরের
সরকারের পাশাপাশি দলীয় নেতা-কর্মী, জনপ্রতিনিধি ও সামর্থ্যবানদের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী আজ মঙ্গলবার সকালে তাঁর সরকারি বাসভবনে আয়োজিত নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দুর্যোগে পরস্পরের পাশে দাঁড়ানোর মধ্য দিয়েই মানুষের মানবিকতা ফুটে ওঠে। তাই সরকারের পাশাপাশি দলীয় নেতা-কর্মী, জনপ্রতিনিধি ও সামর্থ্যবানরা অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ান।’
যেকোনো মহামারি রোধকল্পে প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধই উত্তম ব্যবস্থা বলে উল্লেখ করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, করোনা মহামারি থেকে সুরক্ষা পেতে সবার সর্বোচ্চ মাত্রার সচেতনতার মধ্য দিয়ে প্রতিরোধব্যবস্থা জোরদার করতে হবে। সামান্য অবহেলা বা উদাসীনতা শুধু নিজের নয়, পুরো পরিবারকে চিরচেনা জগৎ থেকে ছিটকে দিতে পারে। এ জন্য সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।
সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, অসহায়-খেটে খাওয়া মানুষের আর্থিক ও খাদ্য নিরাপত্তায় সরকার নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে। আসন্ন ঈদে প্রায় এক কোটি পরিবারকে খাদ্যসহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
দেশের বিভিন্ন স্থানে কয়েকটি নদীর পানিপ্রবাহ বেড়ে বন্যার আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন সেতুমন্ত্রী। তিনি বলেন, যেসব এলাকায় পানিপ্রবাহ বেড়েছে, সেসব এলাকায় বন্যার সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি ও জনগণের ভোগান্তি কমাতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
দুর্যোগ ও সংকটে আওয়ামী লীগই সবার আগে জনগণের পাশে দাঁড়ায় বলে মন্তব্য করেন সড়ক পরিবহনমন্ত্রী। তিনি বলেন, যারা মিডিয়ায় কথামালার ঝড় তোলে, তারা জনগণের দুঃখ-দুর্দশা থেকে নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করে।
মেগা প্রকল্পের বরাদ্দ কমিয়ে করোনার জন্য অর্থসংস্থানের ব্যবস্থা করা হোক—বিএনপির নেতাদের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, করোনার জন্য সরকার পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ রেখেছে। এ ক্ষেত্রে অর্থসংস্থানের কোনো ঘাটতি নেই। ঘাটতি হবেও না।
করোনার টিকা সংগ্রহসহ সব সম্ভাব্য ব্যয় মেটাতে প্রধানমন্ত্রী বিধিবিধান প্রতিপালন সাপেক্ষে অত্যন্ত উদার বলেও জানান সেতুমন্ত্রী।
বিএনপি মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে সক্ষমতা দেখাতে পারেনি বলে এখন এর বিরোধিতায় নেমেছে বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বিএনপি দেশের উন্নয়ন চায় না। তারা তাদের সময়ে উন্নয়নের নামে করেছে লুটপাট।
দেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতা এখন অনেক শক্তিশালী জানিয়ে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৬ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। আর প্রবাসী আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলার। করোনাকালেও রপ্তানি আয় বেড়েছে। তাই মেগা প্রকল্পের বরাদ্দ কাটছাঁটের উদ্ভট প্রস্তাব উদ্দেশ্যমূলক।