সাংসদ একরামকে কোম্পানীগঞ্জে অবাঞ্ছিত ঘোষণা কাদের মির্জার
নোয়াখালীর-৪ আসনের সাংসদ ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরীকে কোম্পানীগঞ্জে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। একই সঙ্গে সাংসদ একরামুল করিম চৌধুরীকে যেখানে পাওয়া যাবে, সেখানে প্রতিরোধ করার জন্য নিজের অনুসারীদের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভা মিলনায়তনে আয়োজিত ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় ও সাংস্কৃতিক আয়োজনে প্রধান অতিথির বক্তৃতা দানকালে এ ঘোষণা দিয়েছেন কাদের মির্জা। অনুষ্ঠানে কাদের মির্জার অনুসারী উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। কাদের মির্জার বক্তৃতাটি তাঁর ফেসবুকে লাইভ প্রচার করা হয়।
বক্তৃতায় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জা বলেন, ‘এই একরাম কোম্পানীগঞ্জের শান্তি চায় না। এই একরাম চায় এখানে নৈরাজ্য সৃষ্টি হোক। এখানে অস্থিতিশীল পরিবেশে সৃষ্টি হোক। তাহলে ঘোলা পানিতে সে মাছ শিকার করতে পারবে। এই কোম্পানীগঞ্জের মাটিতে এই একরামকে কোনো দিন আর স্থান দেওয়া হবে না। একরামকে এই কোম্পানীগঞ্জে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করছি, যেখানে পাবেন তাকে প্রতিরোধ করবেন।’
কাদের মির্জা বলেন, ‘আমি কোম্পানীগঞ্জে, প্রয়োজনে ঢাকায় গিয়ে আন্দোলন শুরু করব তাঁর (সাংসদ একরামুল করিম চৌধুরী) বিরুদ্ধে। এই অপশক্তি ২০০১ সালে আপনাদের নেতা ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধে নির্বাচন করেছে। তার পিতা হাজি ইদ্রিছ ১৯৭৩ সালে সহিদ উদ্দিন এস্কান্দর কচি ভাইয়ের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র নির্বাচন করেছে বঙ্গবন্ধুর নমিনেশনকে অবজ্ঞা করে। তারা আজকে বড় বড় কথা বলে। যারা দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে, এদের দল থেকে বিতাড়িত করতে হবে।
বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা পুলিশের বিরুদ্ধে কোম্পানীগঞ্জের সমস্যা জিইয়ে রাখার অভিযোগ করে বলেন, ‘আজকে অস্ত্রের ঝনঝনানি কারা করছে? পুলিশ। আজকে কোম্পানীগঞ্জকে অশান্ত রেখেছে পুলিশ। আপনারা কোম্পানীগঞ্জের সব সমস্যা জিইয়ে রেখেছেন। এ রকম অবস্থা চলতে দেওয়া যায় না। বন্ধ করতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি আজকে মন্ত্রী মহোদয়কে ফোন দিয়ে ঘটনাটি জানিয়েছি। তিনি বললেন, “আমি সেলিমকে বলে দিচ্ছি, সে তোমাদের সঙ্গে কথা বলবে।” এর আধা ঘণ্টা পর সেলিম ভাই (জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি) আমাকে ফোন দিয়ে বলেছেন, কোম্পানীগঞ্জের বিষয়ে তিনি উদ্যোগ নেবেন।’
কাদের মির্জা নিজের অনুসারীদের প্রতিপক্ষকে বিতাড়িত করার নির্দেশ দিয়ে বলেন, ‘আজ কোম্পানীগঞ্জকে যারা অস্থিতিশীল করছেন, তাঁদের চিহ্নিত করে কোম্পানীগঞ্জের রাজনীতি থেকে বিতাড়িত করে শান্তি স্থাপন করা হবে। আর একটা কথা বলে দিই, আমি আমেরিকা যাব, খুশি হওয়ার কোনো কারণ নেই। আমি বলেছি, আপনারা যদি শান্ত থাকেন, আমার কর্মীরা শান্ত থাকবে। আর যদি কোনো বিশৃঙ্খলা করেন, তাহলে আপনাদের কোম্পানীগঞ্জ থেকে বিতাড়িত করা হবে।’