খালেদার ক্ষতি হলে মানুষ রেহাই দেবে না: ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সুচিকিৎসার অভাবে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার যদি কোনো ক্ষতি হয়, তাহলে দেশের মানুষ কোনো দিনই রেহাই দেবে না। খালেদা জিয়ার কিছু হলে সব দায় সরকারকে বহন করতে হবে।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল। খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবিতে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বরিশাল বাদে দেশের নয়টি সাংগঠনিক বিভাগে আজ একই কর্মসূচি পালন করেছে দলটি।

নির্বাচনব্যবস্থা সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, তৃতীয় ধাপে এক হাজার ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন হয়েছে। এর মধ্যে অর্ধেকের বেশি ইউপিতে হেরে আওয়ামী লীগ নেতারা হেরেছেন দাবি করে তিনি বলেন, এদের (আওয়ামী লীগ) পতন শুরু হয়েছে।

ঢাকার বাইরের শিক্ষার্থীদের জন্য বাসভাড়া না কমানোর সমালোচনা করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, এ নিয়েও বৈষম্য করেছে। শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া নিয়ে সরকারকে ভর্তুকি দিতে হবে। বিভিন্ন ভ্যাট ও সারচার্জের কথা বলে জনগণের পকেট কেটে হাজার হাজার টাকা নেওয়া হচ্ছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, এই টাকা মানুষের জন্যই ব্যয় করতে হবে। তা না করে তারা নিজেদের পকেটে ভরছে। কানাডার বেগম পাড়ায় বাড়ি করছে।মালয়েশিয়াতে বাড়ি করছে। সৌদিতে বাড়ি করছে। টাকা পাচার করছে।

একই অনুষ্ঠানে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান সরকারের উদ্দেশে বলেন, ‘পুলিশকে ব্যারাকে রেখে রাজপথে আসুন। বিএনপি বনাম আওয়ামী লীগ খেলা হবে। সেই খেলার কে জিতে কে হারে, তা আমরা দেখে নেব। আওয়ামী লীগ যদি দুনিয়ার এত ভালো কাজ করে থাকে, তাহলে তারা একটি সুষ্ঠু নির্বাচনে যেতে ভয় পায় কেন, এই প্রশ্নের উত্তর সরকারকে দিতে হবে।’ আওয়ামী লীগ বিশ্বে কর্তৃত্ববাদী-একদলীয় শাসনের রোল মডেল বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির এই নীতিনির্ধারক।

সমাবেশে দলের আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান অভিযোগ করেন, সরকার খালেদা জিয়াকে পরিকল্পিতভাবে তিলে তিলে মারার চেষ্টা করছে।ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহর সভাপতিত্বে সমাবেশ পরিচালনা করেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্যসচিব আমিনুল হক ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্যসচিব রফিকুল আলম।সমাবেশে বক্তব্য দেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমর, হাফিজ উদ্দিন আহমদ ও আহমেদ আজম খান, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস প্রমুখ।

খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে ২৪ নভেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত আট দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। ঘোষিত কর্মসূচির মধ্যে আজ ছিল বিভাগীয় পর্যায়ে সমাবেশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *