দেশে মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশের নিচে, শহরের চেয়ে গ্রামে বেশি

বাজারে সব জিনিসের দাম বাড়ছেই। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার ফলে বেড়েছে পরিবহনসহ আরো অনেক ব্যয়। কিন্তু বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) বুধবার যে তথ্য প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা যায়, গত জানুয়ারি মাসে দেশে মূল্যস্ফীতির হার ডিসেম্বরের চেয়ে কমেছে। সরকারের এই সংস্থার হিসাবে, পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে (মাসওয়ারি) চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে দেশে সার্বিক মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫.৮৬ শতাংশ। আগের মাস ডিসেম্বরে এই হার ছিল ৬ শতাংশের ওপরে; ৬.০৫ শতাংশ। নভেম্বরে মূল্যস্ফীতি হয়েছিল ৫.৯৮ শতাংশ।

২০২১ সালের জানুয়ারিতে যে পণ্য বা সেবার জন্য ১০০ টাকা খরচ করতে হতো, ২০২২ সালের জানুয়ারিতে সেই পণ্য বা সেবার জন্য ১০৫ টাকা ৮৬ পয়সা খরচ করতে হয়েছে। আগের মাসে এই খরচ ছিল ১০৬ টাকা ৫ পয়সা।

পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য বলছে, জানুয়ারিতে বাংলাদেশে ৫.৮৬ শতাংশের যে মূল্যস্ফীতি হয়েছে, তার মধ্যে খাদ্য মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫.৬০ শতাংশ। আর খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৬.২৬ শতাংশ। ডিসেম্বরে ৬.০৫ শতাংশ সার্বিক মূল্যস্ফীতির মধ্যে খাদ্য মূল্যস্ফীতি হয় ৫.৪৬ শতাংশ। আর খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি হয়েছিল ৭ শতাংশ।

এদিকে জানুয়ারিতে শহরের চেয়ে গ্রামে মূল্যস্ফীতি বেশি হয়েছে; এই মাসে গ্রামাঞ্চলে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে হয়েছে ৬.০৭ শতাংশ। ডিসেম্বরে ছিল ৬.২৭ শতাংশ। জানুয়ারিতে শহরাঞ্চলে সার্বিক মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫.৪৭ শতাংশ। ডিসেম্বরে এই হার ছিল ৫.৬৬ শতাংশ। বিবিএসের তথ্যে দেখা যায়, জানুয়ারিতে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে গ্রামে খাদ্যে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫.৯৪ শতাংশ। আর খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৬.৩২ শতাংশ। আগের মাস ডিসেম্বরে খাদ্যে মূল্যস্ফীতি হয়েছিল ৫.৯৩ শতাংশ। আর খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি হয়েছিল ৬.৩২ শতাংশ।জানুয়ারিতে শহর এলাকায় খাদ্যে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৪.৮৫ শতাংশ। খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৬.১৭ শতাংশ। আগের মাস ডিসেম্বরে শহর এলাকায় খাদ্যে মূল্যস্ফীতি হয়েছিল ৪.৪১ শতাংশ। খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি হয়েছিল ৭.০৭ শতাংশ। পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য ঘেঁটে দেখা যায়, দেড় বছর পর ডিসেম্বরে মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশের ঘর অতিক্রম করে। ২০২০ সালের জুনে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৬.০২ শতাংশ। এর পর থেকে মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশের নিচেই অবস্থান করছিল। চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে গড় মূল্যস্ফীতির হার ৫.৩ শতাংশে আটকে রাখার লক্ষ্য ধরেছে সরকার। গত ২০২০-২১ অর্থবছরে এই লক্ষ্য ধরা ছিল ৫.৪ শতাংশ। কিন্তু অর্থবছর শেষ হয় ৫.৫৬ শতাংশ মূল্যস্ফীতি নিয়ে।

সূত্র: বাসস