নড়াইলে অধ্যক্ষ লাঞ্ছিত: ৪ জনের রিমান্ড মঞ্জুর
নড়াইল সদর উপজেলার মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসের গলায় জুতার মালা দেওয়ার ঘটনায় গ্রেফতারকৃত ৪ জনের ৩ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রোববার (৩ জুলাই) দুপুরে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমাতুল মোর্শেদা এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ডের আসামিরা হলেন- অনার্স শিক্ষার্থী রহমত উল্লাহ রনি, মোবাইল মেকার শাওন খান, রিমন ও মনিরুল ইসলাম।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহমুদুর রহমান তাদের পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করলে আদালত প্রত্যেককে তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এ মামলায় ১৮০ জনকে আসামি করা হয়।
পুলিশ ও কলেজ সূত্রে জানা গেছে, মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র রাহুল দেব রায় নিজের ফেসবুক আইডিতে নূপুর শর্মার ছবি ব্যবহার করে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে লিখে দেয়- প্রণাম নিও বস ‘নূপুর শর্মা’জয় শ্রীরাম।
এ পোস্ট দেয়ার পর গত ১৮ জুন সকালে কলেজে যায় রাহুল। এ সময় তার বন্ধুরা লেখাটি মুছে ফেলতে বললেও রাহুল তা মুছে না ফেলায় শিক্ষার্থীরা বিষয়টি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসকে জানান। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কলেজের সব শিক্ষকদের পরামর্শে রাহুলকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার চেষ্টা করেন।
এমন সময় ওই কলেজের শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়রা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ জনতা ওই দিন বিকালে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাস এবং শিক্ষার্থী রাহুল দেব রায়কে গলায় জুতার মালা পরিয়ে প্রতিবাদ জানান। এ সময় কলেজ চত্বরে থাকা শিক্ষকদের তিনটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয় তারা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জসহ কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল ছোড়ে। ঘটনার সময় পুলিশসহ অন্তত ২০ জন ছাত্র-জনতা আহত হন।
অপরদিকে সদর থানার ওসি শওকত কবিরকে শনিবার রাতে প্রত্যাহার করে খুলনায় নেওয়া হয়েছে। রোববার (৩ জুলাই) নড়াইল জেলা পুলিশ সূত্রে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।