ইভ্যালির রাসেল দম্পতির নামে আরেক মামলা
প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ও তার স্ত্রী এবং প্রতিষ্ঠানটির সাবেক চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে একটি মামলা হয়েছে।
রোববার (০৩ জুলাই) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবদাস চন্দ্র অধিকারীর আদালতে জান্নাতুল ফেরদৌস নামে ইভ্যালির এক গ্রাহক এই মামলা করেন।
আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে ধানমণ্ডি থানাকে মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করার নির্দেশ দেন।
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর আজাদ রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করছেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ইভ্যালির চমকপ্রদ বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট হয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস ২৬ লাখ ৭৭ হাজার ৫০০ টাকার বিভিন্ন পণ্য অর্ডার করেন। পরে ওই টাকা ইভ্যালির অ্যাকাউন্টে পেমেন্ট করেন। ওই সব পণ্য বাদীকে সরবরাহ করতে ব্যর্থ হয় ইভ্যালি। পণ্য সরবরাহ করতে না পারায় ইভ্যালি গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে ৫টি চেকের মাধ্যমে বাদীকে ওই টাকা দেয়। ২২ সেপ্টেম্বর হেমায়েতপুর শাখায় ইউনাইটেড ব্যাংক লিমিটেডে চারটি চেক উপস্থাপন করলে এবং ১০ নভেম্বর আরেকটি চেকগুলো ডিজঅনার হয়। পরে জান্নাতুল ফেরদৌস বিষয়টি ইভ্যালিকে জানায়। ইভ্যালি তাকে মৌখিকভাবে জানায়, তারা বাদীর টাকা পরিশোধ করে দেবে। কিন্তু গত ছয় মাসে তা করেনি। সর্বশেষ গত ১৯ জুন বাদী ইভ্যালির ধানমন্ডি অফিসে গেলে প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা জানায় তাকে আর কোনো টাকা দেওয়া হবে না। এ নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে বাদীকে প্রাণ নাশের হুমকিও দেওয়া হয়।
গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর প্রতারণার অভিযোগে আরিফ বাকের নামের একজন গ্রাহক গুলশান থানায় প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মো. রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলা দায়ের পরদিন বিকেলে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের স্যার সৈয়দ রোডের বাসা থেকে তাদের আটক করে র্যাব।
পরে তাদের বিভিন্ন মামলায় রিমান্ডে নেওয়া হয়। সবগুলো মামলায় জামিন পেয়ে গত ৬ এপ্রিল কারামুক্ত হন শামীমা নাসরিন। তবে জামিন নামঞ্জুর হওয়ায় কারাগারেই রয়েছেন রাসেল।