‘আমি দুর্নীতি করব কীসের জন্য, কার জন্য’

নিজে কোনো দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেন না দাবি করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রশ্ন রেখেছেন, আমি দুর্নীতি করব কীসের জন্য, কার জন্য?

সোমবার নিজের জন্মস্থান গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে দলের নেতা-কর্মীদের নিয়ে এক মতবিনিময় সভায় এ প্রশ্ন রাখেন তিনি।

এ সময় দক্ষিণ জনপদের উন্নয়নে পদ্মা সেতুর গুরুত্ব তুলে ধরার পাশাপাশি এই সেতু নির্মাণ করতে গিয়ে নানা বাধা মোকাবেলার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

পদ্মা সেতু পাড়ি দেওয়ার এই যাত্রায় ছোট বোন শেখ রেহানাকেও আনার ইচ্ছা ছিল জানিয়ে তিনি বলেন, কারণ এই পদ্মা সেতু বানাতে গিয়ে আমাদের উপর যে অত্যাচার.. আপনারা চিন্তাও করতে পারবেন না। মিথ্যা একটা অভিযোগ এনেছিল। আমার ছেলে-মেয়ে, রেহানার ছেলে, রেহানা থেকে শুরু করে আমার মন্ত্রী, সচিব মোশাররফ, আমাদের উপদেষ্টা মসিউর রহমান সাহেব থেকে শুরু করে এদের উপরে একেবারে জুলুম। মিথ্যা মামলা দেবে, তাদেরকে হয়রানি করবে।

নিজে কোনো দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেন না দাবি করে শেখ হাসিনা বলেন, আমি দুর্নীতি করব কীসের জন্য, কার জন্য?

নিজের দুই সন্তান এবং ছোট বোনের তিন সন্তান নিজেদের যোগ্যতায় নিজেরা জীবিকা নির্বাহ করছেন জানিয়ে তিনি বলেন, তারা কোনোদিনই.. আমি আজকে চার চার বার ক্ষমতায়, কই কেউ তো আমাকে বলেনি আমায় এই চাকরি দাও, আমায় এই ব্যবসা দাও, এটা দাও, সেটা দাও। নিজেরা চাকরি করছে, নিজেরা পড়েছে, স্টুডেন্ট লোন নিয়েছে, একটা করে কাজ করেছে আবার চাকরি করছে। সেই টাকা শোধ দিচ্ছে আবার পড়েছে।

ছোট বোনকে নিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, রেহানাও চাকরি করে খায়। বোন প্রধানমন্ত্রী দেখে একেবারে বোনের উপর কোনো চাপ দেবে, তাও তো করে না। কোনোদিন কোনো কথা বলে না। বাসে ঝুলে ঝুলে অফিস করে। তারপর সে নিজে কাজ করে খায়। ঘরের কাজ..সে ঘর ঝাড় দেওয়া, বাথরুম ধোয়া, কাপড় ধোয়া, সব নিজের করতে হয়। রেহানা নিজেই করে সব।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের এই আত্মমর্যাদা বোধটা আছে। কারও কাছে হাত পাতা, কারও মুখাপেক্ষী হওয়া না।

পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর সোমবারই প্রথম গোপালগঞ্জে পৈত্রিক ভিটায় যান শেখ হাসিনা। দুই সন্তান সজীব ওয়াজেদ জয় এবং সায়মা হোসেন পুতুলকে নিয়ে সড়ক পথে পদ্মা সেতুর উপর দিয়েই যান তিনি।

টুঙ্গীপাড়ায় পৌঁছে জাতির পিতার কবর জিয়ারত করেন শেখ হাসিনা। পরে আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন।