ক্ষতিপূরণ চেয়ে বাংলালিংক, যমুনা ব্যাংককে আইনি নোটিশ সাকিবের
সাত বছর আগে চুক্তির মেয়াদ শেষ হলেও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে বেআইনিভাবে ‘ব্র্যান্ড ইমেজ’ ব্যবহার করে চলায় বেসরকারি মোবাইল ফোন অপারেটর বাংলালিংক ও যমুনা ব্যাংকের কাছে ক্ষতিপূরণ চেয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের টেস্ট অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
প্রাথমিকভাবে প্রায় ছয় কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে রবিবার বাংলালিংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও যমুনা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন তিনি। কুরিয়ার সার্ভিস ও রেজিস্ট্রি ডাকে তার পক্ষে নোটিশটি পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আশরাফুল হাদী।
নোটিশে বলা হয়েছে, ‘ব্র্যান্ড ইমেজ’ ব্যাবসায়িক কাজে সীমিত ব্যবহারের জন্য ২০১৪ সালের ২১ জানুয়ারি বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশন লিমিটেড সাকিব আল হাসানের সঙ্গে চুক্তি করে।
২০১৬ সালের ২১ জানুয়ারি চুক্তির মেয়াদ শেষ হলেও বাংলালিংক ব্যাবসায়িক স্বার্থে সাকিব আল হাসানের ব্র্যান্ড ইমেজ ব্যবহার করে বিজ্ঞাপন প্রচার করছে বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে।
এ ধরনের বেআইনি ও অনৈতিক কাজ চুক্তি ভঙ্গ ছাড়াও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮-এর ২৬ ধারা, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯-এর ৪৪ ধারা, কপিরাইট আইন ২০০০-এর ৮২ ধারা এবং দণ্ডবিধির ৪০৬ ও ৪২০ ধারার লঙ্ঘন।
৫ কোটি ৮০ লাখ ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ চাওয়ার পাশাপাশি নোটিশে সাকিব আল হাসানের ছবি, স্বাক্ষরসহ তার ব্র্যান্ড ইমেজ বিজ্ঞাপনে বেআইনিভাবে ব্যবহার না করতেও অনুরোধ করা হয়েছে বাংলালিংক ও যমুনা ব্যাংককে। এ ছাড়া চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর গত সাত বছরে বাংলালিংক ও যমুনা ব্যাংক সাকিব আল হাসানের ব্র্যান্ড ইমেজ ব্যবহার করে কত টাকা মুনাফা করেছে তার হিসাবও চাওয়া হয়েছে নোটিশে।
নোটিশ পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে প্রাথমিক ক্ষতিপূরণসহ অভিযোগের লিখিত ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। ব্যর্থ হলে ফৌজদারি মামলাসহ যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে নোটিশে।
জানতে চাইলে কালের কণ্ঠের কাছে আইনি নোটিশ পাঠানোর কথা স্বীকার করেছন সাকিব আল হাসান। এর বাইরে তিনি আর কিছু বলেননি।
তবে তার আইনজীবী আশরাফুল হাদী কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘সম্প্রতি আমার মক্কেল জানতে পেরেছেন যে ২০১৬ সালে চুক্তির মেয়াদ শেষ হলেও বাংলালিংক এখনো তার ব্র্যান্ড ইমেজ ব্যবহার করছে। যে কারণে প্রাথমিকভাবে ক্ষতিপূরণ চেয়ে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। ‘
যমুনা ব্যাংককে কেন নোটিশ পাঠানো হয়েছে জানতে চাইলে এই আইনজীবী বলেন, ‘যমুনা ব্যাংকের বুথে সাকিব আল হাসানের ছবি সংবলিত বাংলালিংকের বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। তার মানে বাংলালিংক ও যমুনা ব্যাংকের মধ্যে আন্ত ব্যাবসায়িক সম্পর্ক আছে। পরোক্ষভাবে হলেও যমুনা ব্যাংক সাকিব আল হাসানের ব্র্যান্ড ইমেজ ব্যবহার করছে। ‘ যে কারণে যমুনা ব্যাংককেও এ নোটিশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান এই আইনজীবী।