ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে হ্যাকিংয়ের আশঙ্কা! পিছাল ভোট
ব্রিটেনে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন ঘিরে তৈরি হয়েছে হ্যাকার আতঙ্ক। সাইবার হ্যাকাররা ব্যালট পরিবর্তন করতে পারে বলে ব্রিটেনের গুপ্তচর সংস্থা GCHQ-র পক্ষ থেকে সতর্ক করা হয়েছে। আর এই বার্তার পরেই ভোটাদান বিলম্বিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ব্রিটেনের একটি জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম।সংবাদমাধ্যমটি আরও জানিয়েছে যে এই হুমকি ব্রিটেন বিরোধী কোনও দেশ বা সংগঠনের পক্ষ থেকে দেয়া হয়নি। গুপ্তচর সংস্থা হ্যাকার হানার সতর্কবার্তা দেয়ার পর কনজারভেটিভ পার্টির মধ্যে তৈরি হয় উদ্বেগ। আর তারপরেই ভোটদান প্রক্রিয়া বিলম্বিত করা হয় বলে জানানো হয়েছে।চুড়ান্ত পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের জন্য কনজারভেটিভ পার্টির সদস্যদের কাছে গত ১ অগাস্ট পোস্টাল ব্যালট পাঠানোর কথা ছিল। কিন্তু সতর্কবার্তার পর আগামী ১১ অগাস্ট পাঠানো হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে পোস্টাল ব্যালট দলের ১ লাখ ৬০ হাজার সদস্যদের কাছে পাঠানো হবে বলে খবর ওই সংবাদ সংস্থা সূত্রে।
ইতিমধ্যে ব্রিটেনের গভর্নমেন্ট কমিউনিকেশ হেডকোয়ার্টাস (GCHQ)-র পক্ষ থেকে সম্ভাব্য হ্যাকার হানা নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। আর এ ব্যাপারে কনজারভেটিভ পার্টিকে অবগত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্রিটেনের ন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি সেন্টার। সুরক্ষার কথা বিবেচনা করে কনজারভেটিভ পার্টিকে অনলাইন ভোট প্রক্রিয়া করার জন্য আবেদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সাইবার বিশেষজ্ঞরা।
এদিকে বরিস জনসন প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগের পর পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে ব্রিটেনে। বর্তমানে লড়াই মূলত প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনকের সাথে পররাষ্ট্র সচিব লিজ ট্রসের। আর শেষ পর্যায়ে ভোটের মধ্যে ঘটল সাইবার হ্যাকার আতঙ্ক। আসলে ব্রিটেনে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন প্রক্রিয়াটি বেশ দীর্ঘ। কেননা দুইয়ের বেশি প্রার্থী হলেই সেক্ষেত্রে প্রয়োজন হয় নির্বাচনের।
আর প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী চূড়ান্ত করতে এমপিরা ভোট দেওয়া শুরু করেন। বেশ কয়েক পর্ব ধরে চলে এই নির্বাচন প্রক্রিয়া। চূড়ান্ত পর্বে যে দুই প্রার্থী থেকে যাবেন, তাদের মধ্যে একজনকে নেতা হিসেবে বেছে নিতে কনজারভেটিভ পার্টির মধ্যে হবে ভোট। পোস্টাল ভোটে যিনি বেশি সমর্থন পাবেন তিনিই দলটির পরবর্তী নেতা হবেন। আর নেতা নির্বাচনের পর রানী তাকে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করার জন্য আমন্ত্রণ জানান।
ব্রিটেনে শাসক দল কনজারভেটিভ পার্টির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে আগামী ৫ সেপ্টেম্বর মধ্যে নির্ধারণ করা হবে বরিস জনসন পরবর্তী ব্রিটনের প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু এই হ্যাকার আতঙ্কের পর নির্ধারিত সময়ে নতুন প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করা আদৌও কতটা সম্ভব, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। সূত্র: ডেইলি মেইল।