ট্রানজিট চুক্তির ভারতীয় পণ্যের প্রথম জাহাজ মোংলায়
নৌ ও সড়ক পথে পরিবহনের ট্রানজিট চুক্তি অনুযায়ী ভারতীয় পণ্য নিয়ে জাহাজ ভিড়েছে মোংলা সমুদ্র বন্দরে। কলকাতা বন্দর থেকে আসা পণ্য মোংলা বন্দরের খালাস হয়ে সড়ক পথে পৌঁছাবে ভারতের আসাম ও মেঘালয় প্রদেশে। মাত্র ১০ থেকে ১২ ঘণ্টার মধ্যেই এ পণ্য পৌঁছাবে গন্তব্যে।
পণ্য পরিবহনে সময় খরচ ও সময় সাশ্রয় ভারত এখন থেকে মোংলা বন্দর ব্যবহার করবে। বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্য চুক্তি অনুযায়ী ৪টি ট্রায়াল রানের প্রথম পণ্যের চালান নিয়ে সোমবার সকালে বাংলাদেশি পতাকাবাহী ‘এমভি রিশাদ রাইহান’ মোংলা বন্দরের ৯নং জেটিতে ভেড়ে।
দুপুর ১২টায় মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ মুসা ও ভারতের সহকারী হাইকমিশনার ইনডার জিত সাগর অনুষ্ঠানিকভাবে পণ্য খালাস কাজের উদ্বোধন করেন।
এ আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ভারতের মধ্যে পণ্য আমদানি রপ্তানির ট্রায়াল কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এ সময় বন্দরের পদস্থ কর্মকর্তা, কাস্টমসসহ বন্দর সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।
মার্কস লাইনের ২টি কন্টেইনারের মধ্যে ১টি কন্টেইনারে ইলেক্ট্রোস্টিল কাস্টিংস লিমিটেডের ৭০ প্যাকেজে ১৬.৩৮০ টন লোহার পাইপ এবং বিবিরবাজার-শ্রীমন্তপুর সীমান্ত পয়েন্ট ব্যবহার করে আসাম ও আরেকটি কনটেইনারে ২৪৯ প্যাকেজে ৮.৫ টন প্রিফোম সড়ক পথে মেঘালয় পৌঁছাবে।
এ প্রসঙ্গে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ মুসা বলেন, মোংলা বন্দরের মাধ্যমে ভারতের সঙ্গে পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক সৃষ্টি হলো। এ কার্যক্রমের মাধ্যমে আমাদের বন্ধুপ্রতিম দেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার হবে। অর্থনীতি এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে আরও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
ভারতের সহকারী হাইকমিশনার ইনডার জিত সাগর বলেন, চুক্তি অনুযায়ী মোংলা ও চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করবে ভারতে। সময় ও অর্থ সাশ্রয়সহ দ্রুত পণ্য পরিবহনের জন্য এটি বন্দর এখন বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এ ট্রানজিটের মাধ্যমে বাণিজ্যিক সম্পর্কের প্রসার ঘটবে।
২০২২ সালের মার্চে অনুষ্ঠিত ১৩তম ভারত-বাংলাদেশ জয়েন্ট গ্রুপ অফ কাস্টমস (জেএসসি) বৈঠকের পর ট্রায়াল রান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।