ট্রানজিট চুক্তির ভারতীয় পণ্যের প্রথম জাহাজ মোংলায়
নৌ ও সড়ক পথে পরিবহনের ট্রানজিট চুক্তি অনুযায়ী ভারতীয় পণ্য নিয়ে জাহাজ ভিড়েছে মোংলা সমুদ্র বন্দরে। কলকাতা বন্দর থেকে আসা পণ্য মোংলা বন্দরের খালাস হয়ে সড়ক পথে পৌঁছাবে ভারতের আসাম ও মেঘালয় প্রদেশে। মাত্র ১০ থেকে ১২ ঘণ্টার মধ্যেই এ পণ্য পৌঁছাবে গন্তব্যে।
পণ্য পরিবহনে সময় খরচ ও সময় সাশ্রয় ভারত এখন থেকে মোংলা বন্দর ব্যবহার করবে। বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্য চুক্তি অনুযায়ী ৪টি ট্রায়াল রানের প্রথম পণ্যের চালান নিয়ে সোমবার সকালে বাংলাদেশি পতাকাবাহী ‘এমভি রিশাদ রাইহান’ মোংলা বন্দরের ৯নং জেটিতে ভেড়ে।
![](https://daily-nobojug.com/wp-content/uploads/2022/08/image.jpeg)
দুপুর ১২টায় মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ মুসা ও ভারতের সহকারী হাইকমিশনার ইনডার জিত সাগর অনুষ্ঠানিকভাবে পণ্য খালাস কাজের উদ্বোধন করেন।
এ আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ভারতের মধ্যে পণ্য আমদানি রপ্তানির ট্রায়াল কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এ সময় বন্দরের পদস্থ কর্মকর্তা, কাস্টমসসহ বন্দর সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।
![](https://daily-nobojug.com/wp-content/uploads/2022/08/image-1.jpeg)
মার্কস লাইনের ২টি কন্টেইনারের মধ্যে ১টি কন্টেইনারে ইলেক্ট্রোস্টিল কাস্টিংস লিমিটেডের ৭০ প্যাকেজে ১৬.৩৮০ টন লোহার পাইপ এবং বিবিরবাজার-শ্রীমন্তপুর সীমান্ত পয়েন্ট ব্যবহার করে আসাম ও আরেকটি কনটেইনারে ২৪৯ প্যাকেজে ৮.৫ টন প্রিফোম সড়ক পথে মেঘালয় পৌঁছাবে।
এ প্রসঙ্গে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ মুসা বলেন, মোংলা বন্দরের মাধ্যমে ভারতের সঙ্গে পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক সৃষ্টি হলো। এ কার্যক্রমের মাধ্যমে আমাদের বন্ধুপ্রতিম দেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার হবে। অর্থনীতি এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে আরও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
ভারতের সহকারী হাইকমিশনার ইনডার জিত সাগর বলেন, চুক্তি অনুযায়ী মোংলা ও চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করবে ভারতে। সময় ও অর্থ সাশ্রয়সহ দ্রুত পণ্য পরিবহনের জন্য এটি বন্দর এখন বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এ ট্রানজিটের মাধ্যমে বাণিজ্যিক সম্পর্কের প্রসার ঘটবে।
২০২২ সালের মার্চে অনুষ্ঠিত ১৩তম ভারত-বাংলাদেশ জয়েন্ট গ্রুপ অফ কাস্টমস (জেএসসি) বৈঠকের পর ট্রায়াল রান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।