বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য, রক্তের অক্ষরে লেখা: তথ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক রক্তের অক্ষরে লেখা এ সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য। অন্য কোন দেশের সঙ্গে সম্পর্কের ফলে এই সম্পর্কে কোন প্রভাব পগবে না বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
সোমবার (০৮ আগস্ট)তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে শহীদ শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এবং সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি একথা বলেন।
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরে কিছু চুক্তি হয়েছে এবং চীনের উন্নয়ন অংশীদার করার একটা প্রস্তাবও তারা দিয়েছে। এতে করে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের কোন প্রভাব ফেলবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক রক্তের অক্ষরে লেখা। ভারত সরকার ও জনগণ আমাদের মুক্তিযুদ্ধে যে সহায়তা করেছে সেটা বাংলাদেশ যতদিন থাকবে, তততিন রক্তের অক্ষরে লেখা থাকবে। ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক যে উচ্চতায়, সে সম্পর্কের সঙ্গে অন্য কারো সম্পর্ক তুলনীয় নয়।
তিনি বলেন, চীন আমাদের বন্ধু প্রতিম দেশ এবং উন্নয়ন অংশীদার। আমাদের অনেক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে তাদের সহায়তা আছে। এ দেশে তাদের কর্মচারী-কর্তকর্তারা কাজ করছেন। বন্ধু প্রতিম দেশ হিসেবে চীন যে কোনো প্রস্তাব দিতে পারে। কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়, সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব নীতি হচ্ছে আমাদের পররাষ্ট্রনীতি। আমি কখনো মনে করি না রক্তের অক্ষরে লেখা সম্পর্কে অন্য কোনো দেশের সঙ্গে সম্পর্কের প্রভাব পড়বে। বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য।
জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোয় বিএনপি ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে। তারা বলেছে, জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করবে। বিরোধী সব দলকেও ঐক্যবদ্ধ করবে এবং তাদের নিয়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে- এমন প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপির তো হাকডাক, নাকডাক বহুদিন ধরে শুনছি আমরা। এই কথা আমরা ২০০৯ সালে যখন সরকার গঠন করেছি, তখন থেকেই শুনে আসছি। বিএনপিকে অনুরোধ জানাব বিশ্ব পরিস্থিতির দিকে তাকাতে৷ মানুষকে বিভ্রান্ত করার রাজনীতি পরিহারের জন্য। তারা মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য রাজনীতি করে। হয়তো কোন কোন সময় সাময়িক বিভ্রান্ত করতে পেরেছে। মানুষ তাদের আসল উদ্দেশ্য জানতে পারে, বুঝতে পারে। বিএনপির এই হাকডাকে কোনো লাভ হবে না।
তিনি বলেন, আমি জানি বিষয়টি নিয়ে অনেক রাজনৈতিক দল মাঠ গরমের চেষ্টা করছে। তাদেরকে আমি অনুরোধ জানাব বিশ্ব পরিস্থিতির দিকে তাকাতে। সরকার যে গত বছর ৫৩ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়েছে, এবছরও কি ৫৩ হাজার কোটি টাকা বা বিপিসির পক্ষে প্রতিদিন ১০০ কোটি টাকা ভর্তুকি দেওয়া সম্ভব? সেটি কোনো দেশের পক্ষে সম্ভব নয়। এ কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপের অনেক শক্তিশালী দেশ এবং জাপানও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী নীতি নিয়ে চলছে। সংকটময় পরিস্থিতির জন্যই বাংলাদেশে জ্বালানি তেলের মূল্য বাড়ানো হয়েছে। তবে বিশ্ববাজারে দাম কমে আসলে তার প্রভাব আমাদের দেশে পড়তে দেড় থেকে দুই মাস সময় লাগে। তখন আমাদের দেশে জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয় করা হবে।