জ্যাকুলিনের বিরুদ্ধে চার্জশিটে যে গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে

ধনকুবের সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ও তার দেওয়া দামি উপহার নেওয়া কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে জ্যাকুলিনের।  

ভারতের অর্থনৈতিক গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট এবার জ্যাকুলিনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিয়েছে। সেখানে যা লেখা আছে, সেটি মোটেই সুখকর নয় অভিনেত্রীর পক্ষে। 

২১৫ কোটি রুপি তছরুপের মামলার চার্জশিটে বলা হয়ে— ‘এখন পর্যন্ত তদন্তে জানা গেছে যে, অভিযুক্ত অভিনেত্রী প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে অপরাধের সঙ্গে জড়িত।’

এর পাশাপাশি চার্জশিটে আরও বলা হয়েছে, তিনি নিজে এবং ভারতে ও বিদেশে বসবাসকারী তারই পরিবারের সদস্যরা যেসব উপহার পেয়েছেন, তার সঙ্গে তছরুপের অপরাধের যোগসূত্র রয়েছে।  ফলে তছরুপ প্রতিরোধ আইন ২০০২-এর ধারা ৩-এর অধীনে তছরুপের অভিযোগ করা হলো, যা PMLA, ২০২২-এর ধারা ৪-এর অধীনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। 

চার্জশিটে আরও বলা হয়েছে, জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ সচেতনভাবে সুকেশ চন্দ্রশেখরের অতীতের অপরাধমূলক কাজের ঘটনাগুলোকে উপেক্ষা করে গেছেন। এবং তার সঙ্গে আর্থিক লেনদেনে জড়িত হয়েছেন। শুধু জ্যাকুলিন নয়, এমনকি তার পরিবারের সদস্য এবং বন্ধুরাও তাদের এই সম্পর্ক থেকে আর্থিকভাবে উপকৃত হয়েছেন।

এর আগে গত সপ্তাহে ইডি এ মামলায় সম্পূরক চার্জশিট দেয়। দক্ষিণী অভিনেত্রীর আইনজীবী প্রশান্ত পাতিল দাবি করেছেন, ‘ইচ্ছাকৃতভাবে ফাঁসানো হয়েছে জ্যাকুলিনকে। 

গত ১৭ আগস্ট দিল্লি হাইকোর্টে দাখিল করা অতিরিক্ত চার্জশিটে ইডি স্পষ্ট জানিয়েছে জেলবন্দি জালিয়াত সুকেশ চন্দ্রশেখরের থেকে লাভবান হয়েছেন জ্যাকুলিন। সুকেশের প্রায় ১০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন অভিনেত্রী। যার মধ্যে ৭ কোটি টাকারও বেশি সম্পত্তি ইতোমধ্যে বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি।