জাতীয় পার্টি নিয়ে আর কেউ খেলতে পারবে না: চুন্নু
জাতীয় পার্টি (জাপা) মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, জাতীয় পার্টি নিয়ে আর কেউ খেলতে পারবে না। জি এম কাদেরের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টি এখন যেকোন সময়ের চেয়ে বেশি শক্তিশালী। যারা জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে চায়, তারা বোকার স্বর্গে বাস করছে। জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে কেউ সফল হবে না।
রোববার (০৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জাতীয় পার্টির সম্ভাব্য প্রার্থীদের সঙ্গে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
জাপা মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা প্রয়োজনে জীবন দিয়ে পার্টির বিরুদ্ধে সব ষড়যন্ত্র নসাৎ করে দেবে।
সম্ভাব্য প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে জাতীয় পার্টি মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন কারো জন্যই সহজ হবে না। যেনতেন নির্বাচন করে কেউ আর পার পারে না। আমরা তিনশো আসনেই নির্বাচন করতেই প্রস্তুতি নিচ্ছি। ত্রিমুখী নির্বাচনের জন্য সবাইকে প্রস্তুত থাকতে হবে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি ক্ষমতার দ্বন্দ্বে সহিংসতা শুরু করেছে। দেশের মানুষ সহিংস রাজনীতি পছন্দ করে না। এ সুযোগে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা সাধারণ মানুষের কাছে গিয়ে পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এর উন্নয়ন ও সুশাসনের দাওয়াত পৌঁছে দেবে।
তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন অনেকের জন্যই অস্তিত্বের প্রশ্ন হয়ে দেখা দেবে। যারা পরাজিত হবে, তারা ইতিহাস থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে পারে। তাই তৃণমূল পর্যায়ে দলকে আরও শক্তিশালী করতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান জাতীয় পার্টি মহাসচিব চুন্নু।
মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন প্রেসিডিয়াম সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, অ্যাডভোকেট শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, এস এম মান্নান, আলহাজ্ব মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী, সুনীল শুভরায়, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, আলহাজ্ব সফিকুল ইসলাম সেন্টু, আব্দুর রশীদ সরকার, আলমগীর সিকদার লোটন, এমরান হোসেন মিয়া, জহিরুল ইসলাম জহির, মোস্তফা আল মাহমুদ, জহিরুল আলম রুবেল, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান, মাহমুদুর রহমান, অ্যাডভোকেট তোফাজ্জেল হোসেন, মো. ইলিয়াস উদ্দিন, ইঞ্জিঃ মো. সিরাজুল হক, ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম মধু, মো. নুরুল ইসলাম ওমর, শফিকুল ইসলাম শফিক, এ এইচ এম গোলাম শহীদ রঞ্জু, মৌলভী ইলিয়াস, জসীম উদ্দিন ভূঁইয়া, যুগ্ম মহাসচিব আমির হোসেন ভূঁইয়া, সাবেক যুগ্ম মহাসচিব সালাউদ্দিন মুক্তি, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান, শাহীন মোস্তফা কামাল (ফারুক), সম্পাদক অ্যাডভোকেট খন্দকার ফায়েকুজ্জামান ফিরোজ, যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক আ স ম. তিতাস মোস্তফা, মামুনুর রহিম সুমন, যুগ্ম সম্পাদক মীর শামছুল আলম লিপটন, কেন্দ্রীয় সদস্য মো. নেওয়াজ আলী ভূঁইয়া, মো. আব্দুল কাদের খান কদর, মো. জাকির হোসেন খান, অ্যাডভোকেট মো. আলতাফ হোসেন, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মো. তছলিম উদ্দিন, এ এন এম রফিকুল আলম সেলিম, মইনুর রাব্বি চৌধুরী, ব্যারিস্টার খাজা তানভীর আহমেদ ও এ এস এম জাহাঙ্গীর পাঠান।