এথিস্ট এরার বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার মামলা দায়ের

গত ২৯ শে অক্টোবর ঢাকার সাইবার ট্রাইবুন্যালে এথিস্ট এরা ম্যাগাজিন সমেত ২১ জন ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে একটি ধর্ম অবমাননার মামলা দায়ের করা হয়। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ২৫, ২৮, ২৯, এবং ৩১ ধারার অধীনে সাইবার ট্রাইবুনাল বিচারক মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন এই মামলাটি আমলে নেন। মামলার নাম্বার ৪১৮/২০২০। মামলার অভিযোগ তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে ডিসি সাইবার ক্রাইম অ্যান্ড সিকিউরিটি ডিভিশনকে।

মামলার বাদী মোঃ আরিফ রাব্বানী হেফাজত ইসলামের একজন কর্মী বলে জানা যায়। এইদিন সোমবার এই মামলাকে ঘিরে আদালতে তীব্র উত্তেজনা দেখা যায় এবং হেফাজতের শত শত কর্মীরা আদালত প্রাঙ্গন ঘিরে রাখে। মামলা দায়েরের পর তারা নারায়ে তাকবীর আল্লহ হু আকবর বলে স্লোগান দিতে দিতে দিতে গুলিস্তান জিরো পয়েন্টের দিকে অগ্রসর হয়। এই সময় এই মিছিল থেকে কিছু রিকশা ও গাড়ি ভাংচুর করা হয়।

আদালত সূত্রে জানা যায় মামলার বাদী মোঃ আরিফ উদ্দিন “এথিস্ট এরা” নামক একটি ইসলাম বিদ্বেষী ম্যগাজিনের বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার মামলা দাখিল করেন। উল্লেখ্য এই পত্রিকার বিরুদ্ধে অনেক আগের থেকেই ধর্ম অবমাননার অভিযোগ রয়েছে এবং এই ম্যাগাজনের মাধ্যমে তিনি অনেক দিন ধরেই আল্লাহ, রাসুল,সাহাবাগন সহ সমগ্র মুস্লিম বিশ্বের বিরুদ্ধে নিয়োজিত রয়েছেন বলে জানা যায় ।আরো জানা যায় যে এই উক্ত ম্যাগাজিনটি দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশের শান্তি প্রিয় ইসলামী জনতার আবেগের বিরুদ্ধে অত্যন্ত কদর্য ভাষায় ইসলামকে আক্রমণ করে লেখালেখি চালিয়ে আসছে।

এই মামলাতে সর্বমোট ২১ জন ব্যাক্তিকে আসামী করা হয় যারা হচ্ছেন মউল্লেখযোগ্য কয়েক জন হলেন এথিস্ট এরা’র সম্পাদক এমডি মাহাদি হাসান, সহ সম্পাদক কাজী ওয়াহিদুজ্জামান, সিনিয়র সহ সম্পাদক মিজানুর রহমান, প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ সাইফুজ্জামান ও উমায়েদ হোসেন, স্টাফ রিপোর্টার উম্মা কুলসুম নারগিস বানু, এমডি জিল্লুর রহমান, অনিকা হক মল্লিক,শ্রাবণী শিকদার, মোহাম্মদ ওয়াহিদ হোসেন, মহাম্মদ ফাহিদুল আলম, মুহাইমিনুল বিশ্বাস পারভেজ, জোবায়ের হোসেন, বিপ্লব পাল, এম ডি হাসান তৌহিদ, মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান, নুর মোহাম্মদ, জনি জোসেফ কস্তা, সহ আরো অনেকে।

এই ব্যাপারে বাদী মোঃ আরিফ উদ্দিনের সাথে কথা যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “এই এথিস্ট এরা ম্যাগাজিনটি ইসলামের শত্রু। এইখানের লেখকেরা ক্রমাগতভাবে প্রতিদিন ইসলামকে নানাভাবে অপমান ও অপদস্ত করে যায় কিন্তু সরকার কিংবা তাদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় একটি কথাও বলে না”

তিনি আরো বলেন, “আল্লাহর জমিনে কোনো নাস্তিকের বাচ্চার ঠাঁই হবে না। আর এইসব কাফেরদের দেশে নিয়ে এসে প্রকাশ্যে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে শিরচ্ছেদ করতে হবে”

বাংলাদেশে তো প্রকাশ্যে শিরচ্ছেদের আইন নেই বা পদ্ধতি নেই তাহলে তিনি কেন এমন দাবী করছেন, এই প্রশ্নের জবাবে জনাব আরিফ বলেন, ৯৮% মুসলমানের দেশে শরীয়া আইন করতে হবে, তা না হলে এই দেশে কোন সরকার টিকে থাকবে না।

এই ব্যাপারে মূল আসামীদের কারো সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়ে উঠেনি। এদিকে এই ঘটনার রেশ ধরে গতকাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো ছিলো অত্যন্ত সরব। সেখানে নানাবিধ মিসগ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।

এই ব্যাপারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের সাথে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা এই ব্যাপারে কোনো রকমের মন্তব্য করা হবে না বলে আমাদের প্রতিবেদককে জানান।