ঢাবিতে ছাত্রদলের ওপর ছাত্রলীগের হামলাকারীরা চিহ্নিত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে যাওয়ার সময় ছাত্রলীগের হামলার শিকার হন ছাত্রদল নেতাকর্মীরা। যদিও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাসের দাবি-ওই হামলায় ছাত্রলীগ জড়িত নয়। তবে বিভিন্ন স্থিরচিত্র ও ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণে হামলায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের অংশ নেওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

মঙ্গলবার বিকাল ৪টার কিছু পরে উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য নীলক্ষেত মোড়ে জড়ো হন ছাত্রদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতাকর্মীরা। সেখান থেকে মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তি ও গণতন্ত্রের তোরণ অতিক্রম করার সময় তাদের পাইপ, স্টাম্প ও লাঠি নিয়ে ধাওয়া করে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।

এ সময় ছাত্রদলের মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে। মুক্তি ও গণতন্ত্রের তোরণের কাছেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ঢাবি ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আরিফ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিল আমিনুল ও সহ-সাধারণ সম্পাদক সোহাগ মুন্সি। সেখানে তাদের স্যার এএফ রহমান হল ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মুনেম শাহরিয়ার মুনের নেতৃত্বে বেদম পেটানো হয়। লাল পলো শার্ট পরিহিত রিয়াজুল ইসলামের হাতে ছিল স্টাম্প।

কালোর ওপর সাদা ফোঁটা পলো টি-শার্ট পরিহিত শাহরিয়ার মুনের হাতে ছিল স্টাম্প। এছাড়া নীল পাইপ হাতে ও সাদা-নীল চেক শার্ট পরিহিত (মার্কেটিং বিভাগ ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী) ছাত্রলীগকর্মী এস আসিফ হোসাইন এবং হাফ শার্ট ও জিন্স প্যান্ট পরিহিত (নৃবিজ্ঞান বিভাগ ২০১৯-২০ সেশনের) ছাত্রলীগকর্মী ওবায়দুল ইসলামের হাতও স্টাম্প ছিল। তাদের হামলায় তিন ছাত্রদল নেতাসহ (মাটিতে পড়ে যাওয়া) অন্তত ১৭ জন আহত হন।

হামলার কিছুক্ষণ পর ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাস সাংবাদিকদের বলেন, আমরা শুনেছি সাধারণ শিক্ষার্থীরা মিলে তাদের গণধোলাই দিয়েছে। এতে ছাত্রলীগের দায় কেন হবে? আমাদের নির্দেশনার বাইরে গিয়ে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা কোনো কাজ করে না।

ছাত্রদল মিথ্যাচার করছে, এখানে ছাত্রলীগের কেউ জড়িত ছিল না। এদিকে হামলায় জড়িত চার ছাত্রলীগ নেতাকর্মী চিহ্নিত হওয়ার বিষয়ে জানতে সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইনকে ফোন দেওয়া হলেও তারা রিসিভ করেননি। স্যার এএফ রহমান হল ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মুনেম শাহরিয়ার মুনকেও কয়েক দফা ফোন দেওয়া হয়েছে। তারাও ফোন রিসিভ করেননি।