খালেদার নাইকো মামলার শুনানি পিছিয়ে ৮ নভেম্বর
নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পক্ষে অব্যাহতির (ডিসচার্জ) আবেদন শুনানির তারিখ পিছিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারের-২ নম্বর ভবনে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমানের আদালতে এ মামলার শুনানির দিন ধার্য ছিল।
কিন্তু খালেদা জিয়ার আইনজীবী সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী অসুস্থ থাকায় আদালতে আসতে পারেননি। তাই আসামিপক্ষ সময় আবেদন করে। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক ৮ নভেম্বর শুনানির পরবর্তী দিন ধার্য করেন।
গত ২ আগস্ট দুদক কৌশলী মোশাররফ হোসেন কাজল অভিযোগ গঠন শুনানি শেষ করে আসামিদের উপস্থিতিতে এ বিষয়ে আদেশের জন্য দিন ধার্য করার আর্জি জানান। ওইদিন খালেদা জিয়ার পক্ষে মাসুদ আহম্মেদ তালুকদার আংশিক শুনানি করেন। এরপর অধিকতর শুনানির জন্য সময় চান। তাই আদালত অভিযোগ গঠনের বিষয়ে অধিকতর শুনানির জন্য দিন আজকের দিন ধার্য ধার্য করেন।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী হান্নান ভুঁইয়া এসব তথ্য জানান।
২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তদন্তের পর ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- তৎকালীন মুখ্য সচিব কামাল উদ্দীন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউসুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এমএএইচ সেলিম এবং নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ৷
আসামিদের মধ্যে সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ও সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন মারা যাওয়ায় তাদের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
দুদকের করা অপর দুই মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত খালেদা জিয়াকে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে নাজিমউদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রাখা হয়। সেখান থেকে পরে চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিএসএমএমইউ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায়ই সরকারের নির্বাহী আদেশে মুক্তি পান। বর্তমানে তিনি নিজ বাসায়ই চিকিৎসাধীন রয়েছেন।