মুন্সিগঞ্জ বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মীর হাইকোর্টে জামিন

মুন্সিগঞ্জে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষের ঘটনায় দুই মামলায় ১৩৯ নেতাকর্মীকে আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।

আদালতে হাজির হয়ে আবেদনের পর বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে ছিলেন আাইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, মো. কামাল হোসেন ও রোকনুজ্জামান সুজা।

জ্বালানি তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দামের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদ এবং ভোলা ও নারায়ণগঞ্জে বিএনপির তিন নেতা-কর্মী হত্যার বিচার দাবিতে ২১ সেপ্টেম্বর বিকেল ৩টার দিকে মুন্সিগঞ্জ শহরের মুক্তারপুর এলাকায় বিক্ষোভ কর্মসূচি আয়োজন করে জেলা বিএনপি। সেখানে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়।

পরদিন রাত ৯টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গুরুতর আহত যুবদল নেতা শাওন ভূঁইয়ার (২২) মৃত্যু হয়।  
ঘটনার পরদিন গত ২২ সেপ্টেম্বর মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলায় বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষের ঘটনায় দলটির নেতা–কর্মীদের বিরুদ্ধে দুটি পৃথক মামলা হয়।

মুন্সিগঞ্জ সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাইনউদ্দিন বাদী হয়ে সরকারি অস্ত্র–গুলি লুট ও মোটরসাইকেল পোড়ানোর অভিযোগে ৩১৩ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় ৭০০ থেকে ৮০০ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। এ মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে জেলা বিএনপির সদস্যসচিব কামরুজ্জামান রতনকে।

অপরদিকে মুক্তারপুরে শ্রমিক লীগের কার্যালয় ভাঙচুর, ককটেল বিস্ফোরণ ও মারধর করে গুরুতর জখম করার অভিযোগে মামলা করেন মুক্তারপুর বাগবাড়ি এলাকার বাসিন্দা ও শ্রমিক লীগের নেতা আবদুল মালেক। এ মামলায় সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মহিউদ্দিন আহম্মেদকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। মামলায় ৫২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় ১৫০ থেকে ২০০ জনকে আসামি করা হয়।

এসব মামলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব কামরুজ্জামান রতনসহ ১৩৯ নেতাকর্মীকে আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।