বরুশিয়াকে হারিয়ে শেষ আটে চেলসি

দুঃসময়ের মধ্য দিয়ে যাওয়া চেলসি পেল আলোর দেখা। বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে পেল দারুণ এক জয়। প্রথম লেগে হেরে পিছিয়ে থাকার পরও জায়গা করে নিতে পারল চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার-ফাইনালে। 

স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে মঙ্গলবার রাতে শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লেগে ২-০ গোলে জিতেছে গ্রাহাম পটারের দল। প্রথমার্ধে রাহিম স্টার্লিং দলকে এগিয়ে নেওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে দুইবার নেওয়া স্পট কিকে ব্যবধান বাড়িয়েছেন কাই হাভার্জ। 

প্রথম লেগে ১-০ ব্যবধানে হারা চেলসি ২-১ গোলের অগ্রগামিতায় জায়গা করে নিল শেষ আটে। সেখানে তাদের সঙ্গী বেনফিকা। একই সময়ে হওয়া অন্য ম্যাচে ক্লাব ব্রুজের বিপক্ষে ৫-১ গোলে জেতে পর্তুগালের দলটি। ঘরের মাঠে গোল উৎসবের আগে বেলজিয়ামে প্রথম লেগে ২-০ ব্যবধানে জিতেছিল তারা। বরুশিয়ার বিপক্ষে ঘরের মাঠে প্রথম ১০ মিনিটে গোলের তিনটি ভালো সুযোগ পায় চেলসি। এর মধ্যে কেবল জোয়াও ফেলিক্স শট রাখতে পারেন লক্ষ্যে। এগিয়ে এসে কর্নারের বিনিময়ে সেটি ঠেকান বরুশিয়া গোলরক্ষক আলেকসান্ডার মেয়ার। সেই কর্নারে হেড লক্ষ্যে রাখতে পারেননি কালিদু কলিবালি।

নবম মিনিটে ফেলিক্সের কাছ থেকে বল পেয়ে ডি বক্স থেকে শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি হাভার্টজ। 

১৭তম মিনিটে মার্কো রয়েসের ফ্রি কিক ঝাঁপিয়ে এক হাতে ব্যর্থ করে দেন চেলসি গোলরক্ষক কেপা আরিসাবালাগা। প্রথমার্ধে এই একটি শটই লক্ষ্যে রাখতে পারে বরুশিয়া। ১১ মিনিট পর গোল প্রায় পেয়েই যাচ্ছিল চেলসি। কিন্তু হাভার্টজের শট এক পোস্টে লেগে বেরিয়ে যায় আরেক পোস্ট ঘেঁষে! 

৩৮তম মিনিটে অবশ্য জার্মান মিডফিল্ডার জালে বল পাঠান। তবে আক্রমণের শুরুতে স্টার্লিং অফসাইডে থাকায় গোল মেলেনি। পরের মিনিটে গোলমুখে একটুর জন্য পা ছোঁয়াতে পারেননি কলিবালি। পরে ফেলিক্সের শট ঠেকিয়ে দেন বরুশিয়া গোলরক্ষক।

বরুশিয়াকে হারিয়ে শেষ আটে চেলসি

অসংখ্য সুযোগ তৈরি করা চেলসি এগিয়ে যায় ৪৩তম মিনিটে। আলগা বলে চিলওয়েলের কাটব্যাক পেনাল্টি স্পটের কাছে পেয়ে যান স্টার্লিং। প্রথম চেষ্টায় তার শট বলে ঠিক মতো লাগেনি। রয়েসের পায়ে লাগার পর পেয়ে যান তিনি। এবার বুলেট গতির শটে খুঁজে নেন জাল। 

দ্বিতীয়ার্ধের ৫৩তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন হাভার্টজ। চিলওয়েলের ক্রস বরুশিয়ার মারিউস উলফের হাতে লাগলে ভিএআরের সাহা্য্য নিয়ে পেনাল্টি দেন রেফারি। প্রথম শটে গোল করতে পারেননি হাভার্টজ, ডানদিকে পোস্টে লেগে ফিরে আসে বল। তবে তিনি শট নেওয়ার আগেই দুই দলের বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় ডি বক্সে ঢুকে যাওয়ায় পান আবার শট নেওয়ার সুযোগ। 

দ্বিতীয়বার আর কোনো ভুল করেননি হাভার্টজ। ডানদিকের পোস্ট ঘেঁষে জালে জড়ায় তার ঠাণ্ডা মাথার শট। চলতি বছরে প্রথমবারের মতো কোনো ম্যাচে একাধিক গোল করে অগ্রগামিতা পেয়ে যায় চেলসি। 

৫৮তম মিনিটে একটুর জন্য জালের দেখা পাননি বরুশিয়ার জুড বেলিংহ্যাম। বিপজ্জনক জায়গা থেকে তার শট বেরিয়ে যায় পোস্ট ঘেঁষে। সাত মিনিট পর উলফের শট ব্যর্থ করে দেন চেলসি গোলরক্ষক। 

৭৬তম বরুশিয়ার জালে বল পাঠান কনর গ্যালাগার। তবে তাকে বল দেওয়া স্টার্লিং অফসাইডে থাকায় গোল মেলেনি। শেষ দিকে বেশিরভাগ সময় ২১ জন ছিল চেলসির অর্ধে। তবে এত প্রবল চাপেও ভেঙে পড়েনি প্রিমিয়ার লিগের দলটির রক্ষণ। তাদের নৈপুণ্যে থামল বরুশিয়ার টানা ১০ ম্যাচের অজেয়যাত্রা।