আন্তর্জাতিক নারী দিবসে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বাণী
আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে আমি বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল নারীকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। তাদের অব্যাহত সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করি।
আন্তর্জাতিক নারী দিবস একটি অত্যন্ত তাৎপর্যময় দিন। বিশ্বব্যাপী নারী জাগরণ সৃষ্টি, নারীর অধিকার সম্পর্কে সচেতন এবং নারী সমাজের কল্যানে সবাইকে উদ্বুদ্ধ করতে এ দিবসটি পালিত হয়। বাংলাদেশে এ দিবসটির গুরুত্ব অপরিসীম।
আমাদের জনসংখ্যার অর্ধেক নারী। তাই নারী সমাজের অগ্রগতি সাধিত হলে মানব জাতির সামগ্রিক অগ্রগতি সম্ভব হবে। এ সত্যটি উপলব্ধি করেই শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় কর্মকান্ডে নারীর অধিকতর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সরকার এ দেশের নারী সমাজের উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচী বাস্তবায়ন করেছেন। নারী সমাজের অশিক্ষার অন্ধকার ঘুচিয়ে শিক্ষার ব্যাপক প্রসারের জন্য বেগম জিয়ার সরকার অনেক কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। বিনা বেতনে নারীর পড়ালেখার যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছিলেন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। ফলে নারীর ক্ষমতায়ন এবং উন্নয়নের মূল স্রোতধারায় তাদেরকে সম্পৃক্ত করার কারণে তাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস জেগে উঠে। একই সঙ্গে তারা অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার পথ খুঁজে পেয়েছে। নারীদের শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও পুরুষদের সঙ্গে প্রতিযোগিতার সমান সুযোগে সমাজের অগ্রগতি ও রাষ্ট্রের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয়। বদলে যাওয়া বিশ্বের কর্মপরিবেশে নারীর সরব উপস্থিতি নিশ্চিত করতে আমাদের একযোগে কাজ করতে হবে।
বাংলাদেশ এখন নৈরাজ্যের অন্ধকারে নিমজ্জিত। নারী ও শিশুদের ওপর সহিংসতার মাত্রা উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া একজন নারী অথচ তাঁকে সীমাহীন হয়রানী ও হেনস্তা করার জন্য মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে। নারী দিবসে দু:শাসন ও অনাচারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামের প্রত্যয় ঘোষনা করতে হবে।শান্তি, নিরাপত্তা, মানবাধিকার এবং টেকসই উন্নয়নে বৈশি^ক অগ্রগতির ক্ষেত্রে অপরিহার্য শর্ত হলো নারীর অধিকার। নারী সমাজ যাতে অবহেলা, নির্যাতন ও নিপীড়ণের শিকার এবং ন্যায্য অধিকার থেকে তারা যাতে বঞ্চিত না হয় সেদিকে সবার সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। বৈশ্বিক কর্মযজ্ঞে নারী-পুরুষের সমতায়ন এখন সর্বপ্রথম এজেন্ডা হওয়া উচিৎ।
আজকের এই শুভ দিনে আমি নারী সমাজের উন্নয়ন ও কল্যানে আন্তরিকভাবে কাজ করার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানাই। এবারের আন্তর্জাতিক নারী দিবসের মূল প্রতিপাদ্য “নেতৃত্বে নারী” এর সফলতা কামনা করছি।আল্লাহ হাফেজ, বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।