অন্তহীন অভিযোগ আচরণবিধিতে ভ্রুক্ষেপ নেই প্রার্থীদের
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে প্রার্থীদের আচরণবিধি মেনে চলতে একের পর এক নির্দেশনা দিচ্ছেন রিটার্নিং অফিসার। কিন্তু সেই বিধি মেনে চলতে খুব বেশি গরজ নেই প্রার্থীদের। বিধিভঙ্গের যে অভিযোগে প্রার্থীদের সতর্ক করা হচ্ছে, সেই অভিযোগ বারবার করতে দেখা যাচ্ছে। আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু থেকে জেলা প্রশাসনের ১৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করে এলেও বিধিভঙ্গের অভিযোগে এখন পর্যন্ত সতর্ক কিংবা সর্বোচ্চ জরিমানার মধ্যেই নিজেদের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রেখেছেন। এই সুযোগে তিনটি নির্বাচনী হত্যাকাণ্ডসহ দিন দিন সহিংস হয়ে উঠছে পরিস্থিতি। আগামী ২৭ জানুয়ারি চসিক নির্বাচন।
রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ৮ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরুর পর থেকে গতকাল শনিবার পর্যন্ত ২৪টি অভিযোগ জমা পড়েছে নির্বাচন কার্যালয়ে। বেশির ভাগই পোস্টার ছেঁড়া, প্রচারে বাধা, হুমকি-ধমকি এবং একে অপরের বিরুদ্ধে আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ। প্রধান দুই মেয়র পদপ্রার্থী আওয়ামী লীগ মনোনীত রেজাউল করিম ও বিএনপি মনোনীত শাহাদাত হোসেন পরস্পরের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করেছেন রিটার্নিং অফিসারের কাছে। অভিযোগগুলো আমলে নিয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেট ও থানার ওসিকে তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন রিটার্নিং অফিসার ও চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান।
এদিকে অনেক প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচনী প্রচারে ও শোডাউনে শিশু-কিশোরদের ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার বিকেলে নগরের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের নয়াবাজারে মেয়র প্রার্থী শাহাদাতের পক্ষে শিশু-কিশোরদের নিয়ে মিছিল ও মোটর শোভাযাত্রা করার অভিযোগে বিএনপি নেতা কিং আলী ও আবদুল কাদেরকে সতর্ক করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম। কী ধরনের আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ পাচ্ছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘শিশু-কিশোর বিশেষ করে কিশোর গ্যাংদের নির্বাচনী প্রচারে ব্যবহার করছেন প্রার্থীরা। তাদের দিয়ে মিছিল এবং শোডাউন করানো হচ্ছে।’