অস্থিতিশীলতার জন্য একমাত্র দায়ী সেতুমন্ত্রীর স্ত্রী: কাদের মির্জা
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার জন্য বড় ভাই এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন আবদুল কাদের মির্জা।
পাঁচ দিন আগে বসুরহাটে সংঘর্ষে আলাউদ্দিন নামে এক ব্যক্তি নিহতের ঘটনায় পৌর মেয়র কাদের মির্জা ও তার ছেলেসহ শতাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে রোববার আদালতে মামলার আবেদন যাওয়ার পর তিনি এ কথা বলেন।
সন্ধ্যায় ফেসবুক লাইভে বসুরহাট পৌরসভার এই মেয়র বলেন, কোম্পানীগঞ্জে অস্থিতিশীলতার জন্য একমাত্র দায়ী সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের স্ত্রী এড. ইশরাতুন্নেছা কাদের। মন্ত্রীর (সেতুমন্ত্রী) ওপর তার স্ত্রী প্রভাব খাটাচ্ছে।
গত জানুয়ারির ভোটে দ্বিতীয় দফায় বসুরহাট পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হওয়া কাদের মির্জা প্রথম আলোচনায় এসেছিলেন যে বক্তব্য দিয়ে, সেখানেও ভাবির বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল তার।
তিনি বলেন, এর সঙ্গে যোগ হয়েছে অপরাজনীতির হোতা নোয়াখালীর এমপি একরাম, ফেনীর এমপি নিজাম হাজারী এবং তাদের সহযোগীরা। এরা মন্ত্রীর পরিচয় দিয়ে ও প্রভাব খাটিয়ে বিআরটিএ লুটেপুটে খাওয়া তার পিএ জাহাঙ্গীর প্রশাসনের ওপর প্রভাব বিস্তার করে নানা কিছু করছে।
‘নুরুল করিম জুয়েল ঢাকায় বসে এখানকার সন্ত্রাসীদের উৎসাহিত করছে আমাকে হত্যা করার জন্য। সেদিনের ঘটনায় পাঁচ শতাধিক গুলি ছুড়েছে সন্ত্রাসীরা। আমার কয়েকজন কর্মী এখনও মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে। কেউ কোনো খবর রাখেনি।
তাকে জড়িয়ে আলাউদ্দিন হত্যার ঘটনায় আদালতে মামলা দায়েরকে ষড়যন্ত্র উল্লেখ করে আবদুল কাদের মির্জা বলেন, যতো ষড়যন্ত্র, চক্রান্ত আপনারা করেন; জনগণের হৃদয় থেকে আমাকে কখনো সরাতে পারবেন না।
মামলায় তার ছেলে তাশিককে আসামি করার বিষয়ে কাদের মির্জা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ছেলেটা ঢাকাতে ইউনিভার্সিটিতে পড়ে। তার পরীক্ষা চলছে, সে ঢাকায়। তাকেও এ হত্যা মামলায় আসামি করা হয়েছে।
ফেসবুক লাইভে তিনি আরও বলেন, আমি বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকেও জানিয়েছি। নেত্রী বিষয়টা দেখবেন বলেছেন।
শরীরে এক ফোঁটা রক্ত থাকাবস্থায় সত্য কথা বলে যাবেন বলে জানান তিনি। বললেন, তুমি গোলাপ ভরা ফুলদানি ভেঙে ফেলতে পার, কিন্তু বাতাস থেকে কখনো গোলাপের গন্ধ মুছে ফেলতে পারবে না। আমাকেও জনগণের হৃদয় থেকে ষড়যন্ত্রকারীরা মুছে ফেলতে পারবে না।
তিনি তার অনুসারীদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, প্রশাসনকে জানিয়েছি। প্রশাসনের সহযোগিতা না পেলে আমি পূর্ব ঘোষিত ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মবাষির্কীর কর্মসূচিসমূহ নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে পালন করব।