এই ত্রাসের রাজত্বের অবসান ঘটাতে হবে: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দানবের হাত থেকে মুক্তির উপায় খুঁজতে, বর্তমান ত্রাসের রাজত্বের অবসান ঘটাতে হবে। জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।বৃহস্পতিবার জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) করোনা মোকাবিলায় স্থানীয় সরকারের ভূমিকা শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনা সভার প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাভিত্তিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিনির্মাণে সকলেই ব্যর্থ হয়েছে। ৫০ বছরে ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্যদিয়ে যা অর্জন ছিল তার সবকিছু বর্তমান সরকার ধ্বংস করে দিয়েছে। এখন প্রয়োজন জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করা।এদিকে, ভার্চুয়াল আলোচনায় অন্যান্যদের মধ্যে অংশগ্রহণ করেন সুজনের সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, অ্যাডভোকেট ছানোয়ার হোসেন তালুকদার, সা কা ম আনিছুর রহমান খান, মো. সিরাজ মিয়া এবং তৌহিদ হোসেন। আলোচনা সভায় প্রস্তাব উত্থাপন করেন শহিদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন।
ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, স্থানীয় সমস্যা স্থানীয় পর্যায়ে সমাধান করাই হচ্ছে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর কাজ। সংবিধানে স্থানীয় সরকার প্রশ্নে যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে তা স্বাধীনতার পর কখনোই বাস্তবায়ন হয়নি।সভাপতির বক্তব্যে আ স ম আবদুর রব বলেন, করোনা মোকাবিলায় জনগণকে সম্পৃক্ত করতে এবং জাতীয় ঐক্য গড়ার লক্ষ্যে বিদ্যমান মডেল পরিবর্তন করে নতুন কৌশলগত পরিকল্পনা নেওয়া প্রয়োজন।
করোনার বিরুদ্ধে ভয়ংকর যুদ্ধ মোকাবিলায় পাঁচ লক্ষ্যকে সামনে রেখে কৌশলগত পরিকল্পনা প্রনয়ণের কথা বলেন তিনি।(১) করোনা মোকাবিলায় বিজ্ঞানভিত্তিক প্রতিরোধ ও মানসম্পন্ন চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতকরণ (২) স্থানীয় সরকারের নেতৃত্বে জনগণকে সম্পৃক্তকরণ (৩) দারিদ্র্য সীমার নিচে থাকা পাঁচ কোটি জনগণকে খাদ্য ও স্বাস্থ্য সুরক্ষাসহ কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাকরণ (৪) স্থানীয় থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত সকল পর্যায়ে জাতীয় ঐক্য তৈরি এবং (৫) হার্ড ইমিউনিটি অর্জনের লক্ষ্যে ভ্যাকসিনের বিকল্প উৎসের সন্ধানসহ জাতীয় পর্যায়ে ভ্যাকসিন উৎপাদনের উদ্যোগ গ্রহণ।
তিনি আরও বলেন, করোনার ভয়াল থাবায় ইতোমধ্যেই প্রায় পাঁচ কোটি জনগণ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করছে। এই বিরাট জনগোষ্ঠীর খাদ্য সংস্থান এবং অর্থনৈতিক পুনর্বাসনের আওতায় না এনে কোনোভাবেই করোনা মোকাবিলার কৌশলগত পরিকল্পনার বাস্তবায়ন সম্ভব হবে না। নিরন্ন মানুষকে সুরক্ষা বেষ্টনীর বাইরে রেখে অপরিকল্পিত ‘লকডাউন’, কঠোর বিধিনিষেধ বা সর্বাত্মক ‘লকডাউন’র ঘোষণা হবে নিষ্ঠুর এবং আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত।