কুষ্টিয়ায় নৌকার সওয়ার হতে পারলেন না বর্তমান ৭ চেয়ারম্যান

আওয়ামী লীগের লোগো
আওয়ামী লীগের লোগো

কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন দৌড়ে ছিটকে পড়লেন বর্তমান সাত চেয়ারম্যন। তাঁরা সবাই আওয়ামী লীগের হয়ে নৌকা প্রতীকে নির্বাচিত চেয়ারম্যান।

দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে গতকাল শনিবার বিকেলে মিরপুর উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে আওয়ামী লীগ। দলীয় মনোনয়ন পাওয়াদের তালিকা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।

সাত চেয়ারম্যান দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ার বিষয়ে মিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক বি এম জুবায়ের প্রথম আলোকে বলেন, হয়তো জনপ্রতিনিধি হওয়ার পর সাংগঠানিক কাজকর্ম থেকে একটু দূরে সরে গিয়েছিলেন তাঁরা। আবার কেউ হয়তো চেয়ারম্যান হওয়ার পর তাঁদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ ছিল। সভানেত্রী সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

দলীয় ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ১১টি ইউনিয়নের মধ্যে ৮টিতে নৌকা প্রতীকে চেয়ারম্যান হয়েছিলেন। বাকি তিনটিতে জাসদের প্রার্থী নির্বাচিত হন। আগামী ১১ নভেম্বর এই উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ হবে। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ১১ জন নেতাকে এবার দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। সদরপুর ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান রবিউল হক বাদে বাকি সাতটির চেয়ারম্যান দলীয় মনোনয়ন থেকে ছিটকে পড়েছেন। যদিও তাঁরা তৃণমূল থেকে কেন্দ্রে পাঠানো তালিকায় ছিলেন।

ছিটকে পড়াদের মধ্যে আছেন আমলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনারুল ইসলাম মালিথা, তালবাড়িয়ার আবদুল হান্নান, বহলবাড়িয়ার সোহেল রানা, ছাতিয়ানের জসিম উদ্দীন বিশ্বাস, পোড়াদহের আনারুজ্জামান মজনু, মালিহাদের আলমগীর হোসেন ও ফুলবাড়িয়া ইউনিয়নের আবদুস সালাম। তাঁদের জায়গায় এবার মনোনয়ন পেয়েছেন যথাক্রমে একলিমুর রেজা, তৌসিক আহমেদ, শহিদুল ইসলাম, তাছের আলী মণ্ডল, শারমিন আক্তার, আকরাম হোসেন ও আতাহার আলী।

হয়তো জনপ্রতিনিধি হওয়ার পর সাংগঠানিক কাজকর্ম থেকে একটু দূরে সরে গিয়েছিলেন তাঁরা। আবার কেউ হয়তো চেয়ারম্যান হওয়ার পর তাঁদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ ছিল।

বি এম জুবায়ের, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক, মিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ

উপজেলা ও জেলা আওয়ামী লীগের অন্তত চারজন নেতার সঙ্গে কথা হলে তাঁরা বলেন, জনপ্রতিনিধি হওয়ার পর বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে ভাতা প্রদান কর্মসূচি, বালুমহাল নিয়ন্ত্রণ ও মাদকের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে। এ ছাড়া সাংগঠানিকভাবে তাঁরা দূরে সরে গিয়েছিলেন। সেসব কারণেই হয়তো তারাঁ এবার দলীয় মনোনয়ন থেকে ছিটকে পড়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *