মিয়ানমারে সেনাসদস্যদের সঙ্গে গ্রামবাসীর সংঘর্ষে নিহত ২০
–
মিয়ানমারের এইয়ারওয়াদি নদীর বদ্বীপ অঞ্চলে সেনাসদস্যদের সঙ্গে গ্রামবাসীর সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
শনিবার সেনাসদস্যরা আগ্নেয়াস্ত্রের খোঁজে তল্লাশি চালাতে গেলে গ্রামবাসী গুলতি ও তির–ধনুক নিয়ে রুখে দাঁড়ালে এই সংঘর্ষ হয় বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে এইয়ারওয়াদি অঞ্চলের কিওনপিও শহরতলির হ্লাইসওয়ে গ্রামে।
মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরে বলা হয়েছে, হ্লাইসওয়ে গ্রামে তিন ‘সন্ত্রাসী’ নিহত এবং দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারী একজনকে ধরতে গেলে এ ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে বক্তব্যের জন্য মিয়ানমারের জান্তা সরকারের এক মুখপাত্রকে ফোন করেছিল রয়টার্স। তবে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।
মিয়ানমারে গত ফেব্রুয়ারিতে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত অং সান সু চির সরকারকে উৎখাত করে সেনাবাহিনী। এরপর থেকে দেশটিতে ধারাবাহিকভাবে বিক্ষোভ হচ্ছে। দেশে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে ধুঁকতে হচ্ছে সেনা সরকারকে।
আসিয়ানের একদল প্রতিনিধি শুক্রবার জান্তাপ্রধান মিন অং হ্লাইংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন। এর প্রতিক্রিয়ায় শনিবার মিয়ানমারের অনেক এলাকায় বিক্ষোভ দেখা দেয়। মান্দালয় অঞ্চলের একটি শহরে আসিয়ানের পতাকা পোড়ানো হয়।
মিয়ানমারের প্রধান শহর ইয়াঙ্গুন থেকে ১৫০ কিলোমিটার উত্তর–পশ্চিমের গ্রাম হ্লাইসওয়েতে শনিবার ভোরের আগে সংঘর্ষ শুরু হয়। সেনাসদস্যরা আগ্নেয়াস্ত্রের জন্য তল্লাশি চালানোর কথা বলে গ্রামবাসীদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ বাধে বলে স্থানীয় চারটি সংবাদমাধ্যম ও স্থানীয় একজন বাসিন্দা জানিয়েছেন।
নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে ওই বাসিন্দা বলেন, গ্রামবাসীর হাতে শুধু তির–ধনুক ছিল এবং তাঁদের পক্ষে অনেক হতাহত হয়েছেন।
খিত থিত মিডিয়া ও ডেল্টা নিউজের খবরে বলা হয়, ২০ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন এবং আরও অনেকে আহত হয়েছেন। তাঁদের খবরে আরও বলা হয়, সেনাসদস্যরা বাসিন্দাদের নির্যাতন শুরু করলে গুলতি দিয়ে প্রতিরোধের চেষ্টা করেন তাঁরা।