ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান পুনরুদ্ধারে অর্থমন্ত্রী নীরব

প্রস্তাবিত ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান পুনরুদ্ধারের বিষয়ে কিছুই বলা হয়নি। এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী ছিলেন পুরোপুরি নীরব। আজ মঙ্গলবার ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড সেক্রেটারিজ অব বাংলাদেশ (আইসিএসবি) আয়োজিত বাজেট আলোচনায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে আইসিএসবির কাউন্সিল সদস্য শফিকুল আলম প্রস্তাবিত বাজেটের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন আইসিএসবির সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ সানাউল্লাহ, সেলিম রেজা প্রমুখ। ‘প্রস্তাবিত বাজেট ২০২১-২২ থেকে আইসিএসবির প্রত্যাশা ও প্রতিক্রিয়া’ শিরোনামে অনলাইনে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন আইসিএসবির সভাপতি মোজাফফর আহমেদ।

মূল প্রবন্ধে বলা হয়, বাজেটে অর্থমন্ত্রী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর ১৫ শতাংশ কর বসানোর প্রস্তাব করেছেন। এই কর বসানোর সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা দরকার।

মোজাফফর আহমেদ তাঁর বক্তব্যে বাজেট প্রস্তুতি, অন্তর্বর্তীকালীন পর্যালোচনা এবং বাস্তবায়নের বাধা চিহ্নিত করতে পেশাদারদের কাজে লাগাতে অর্থমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানান। যাঁদের নির্দিষ্ট পরিমাণ লেনদেন হয় সেসব জায়গায় কমপ্লায়েন্স অডিটের বিস্তৃতি বাড়ানোর তাগিদ দেন তিনি। একই সঙ্গে বাজেট বাস্তবায়নে সুশাসন নিশ্চিত করার তাগিদ দেন তিনি। মোজাফফর আহমেদ বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে ব্যাংকিং ও নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতকে পুনরুদ্ধারে কোনো পদক্ষেপ দেখা গেল না।
মূল প্রবন্ধে শফিকুল আলম বলেন, বাজেটে অর্থমন্ত্রী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর ১৫ শতাংশ কর বসানোর প্রস্তাব করেছেন। এই কর বসানোর সিদ্ধান্তের পুনর্বিবেচনা দরকার।

সভায় স্বতন্ত্র ব্যবসায়ীদের ন্যূনতম কর কমানো, ঢাকা ও চট্টগ্রামের বাইরে হাসপাতালের জন্য কর অবকাশ সুবিধা, মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের কর হার বৃদ্ধি, কাঁচামালের জন্য নগদ লেনদেনের সীমা বৃদ্ধি, ছয়টি আইটি পরিষেবার কর ছাড়, নারী উদ্যোক্তাদের জন্য কর ছাড়সহ বাজেটের নানা দিক নিয়ে আলোচনা করেন অন্য আলোচকেরা।