ভোট দিয়ে সরকার পরিবর্তন করতে চাই: মির্জা ফখরুল
‘আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। আমরা গণতন্ত্র ফেরত চাই। আমরা ভোট দিয়ে সরকার পরিবর্তন করতে চাই। আমরা গায়ের জোড়ে সরকার পরিবর্তন করতে চাই না। আর সেই ভোটটা যেন দিতে পারি, তা নিশ্চিত করতে চাই। কী করেছেন আপনারা (আওয়ামী লীগ)। ভীরু, কাপুরুষ, নির্লজ্জের মতো তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রথাটা বাতিল করেছেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার থাকলে আপনারা জীবনেও সরকারে আসতে পারবেন না।’
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন। সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
সভায় মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ শহীদ জিয়াকে অস্বীকার করতে চাচ্ছে, গণতন্ত্রকে অস্বীকার করতে চায়। তরুণ প্রজন্মকে শহীদ জিয়া সম্পর্কে জানতে দিতে চায় না। জিয়া সম্পর্কে আওয়ামী লীগের একটাই কাজ তাঁকে মুছে ফেলা। তাঁকে তরুণ প্রজন্মের কাছে উপস্থাপন করা হয় খুনি হিসেবে। বাংলাদেশের শত্রুরা দেশের উন্নয়নকে থামিয়ে দেওয়ার জন্য জিয়াকে হত্যা করেছে। সে সময় আওয়ামী লীগ ছিল তলাবিহীন ঝুড়ির মতো।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এক বক্তব্যের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের বহুদলীয় গণতন্ত্র ছিল নাকি তামাশা। আরে আপনাদের জন্মই ওই বহুদলীয় গণতন্ত্র থেকে। ১৯৭৫ সালে আপনাদের নেতা বাকশাল করে নিজেদের নাই ঘোষণা করে দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, আমরা বাকশাল, আওয়ামী লীগ নাই। পরে যখন জিয়াউর রহমান আপনাদের সুযোগ দিল, আপনারা নিবন্ধন করেছেন। নিবন্ধন করে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ নিয়ে এসেছেন। এখন এটাকে (বহুদলীয় গণতন্ত্র) আপনারা তামাশা বলেন। আপনারা তো ফ্যাসিবাদীদের একদলীয় গণতন্ত্রের একেকটা জোকার।’
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান সোহেল। সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটি সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেন প্রমুখ।
সভায় ইশরাক হোসেন বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫০ বছরে আমরা কী পেলাম, তা তরুণ প্রজন্মের জানা উচিত। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। তারা দেশকে ৫০ বছর পেছনে নিয়ে গেছে।’