আফগানিস্তানে তুর্কি সেনা উপস্থিতি নিয়ে যা বলল তালেবান

facebook sharing button
messenger sharing button
twitter sharing button
pinterest sharing button
linkedin sharing button
print sharing button
আফগানিস্তানে তুর্কি সেনা উপস্থিতি নিয়ে যা বলল তালেবান

যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর সব সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়া হচ্ছে আফগানিস্তান থেকে। এর মধ্যে দেশটিতে তুরস্ক কিছু সেনা রেখে দিতে চায় বলে খবর বের হয়েছে, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় বলে জানিয়ে দিয়েছে তালেবান।

বৃহস্পতিবার রাশিয়ার গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তালেবানের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ তুরস্ককে এ বিষয়ে কড়া হুশিয়ারি দেন। খবর গালফ নিউজের। 

যুক্তরাষ্ট্রের সেনা প্রত্যাহারের মধ্যে তুরস্ক কাবুল বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিতে চায় বলে খবর বের হয়েছে। এটি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র-তুরস্কের কর্মকর্তাদের মধ্যে আলোচনাও বেশ কিছুটা এগিয়েছে। 

সে আলোচনার দিকে ইঙ্গিত করে তালেবানের এ মুখপাত্র বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সেনা প্রত্যাহারের পর তালেবান আফগানিস্তানে কোনো বিদেশি সেনার উপস্থিতি মেনে নেবে না।

‘আমরা ইতোমধ্যে তুরস্কের সেনা উপস্থিতির বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করেছি। যুক্তরাষ্ট্র সেনা প্রত্যাহার করার পর আফগানিস্তানে কোনো অজুহাতে বিদেশি সেনা উপস্থিতি আমরা মেনে নেব না’, যোগ করেন জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ।

সাক্ষাৎকারে তালেবানের এ মুখপাত্র বলেন, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান এবং ইরানের সঙ্গে সীমান্ত এলাকাসহ ৯০ শতাংশ সীমান্ত আমাদের দখলে রয়েছে।

দীর্ঘ ২০ বছরের যুদ্ধের ইতি ঘটিয়ে ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সব সেনা প্রত্যাহার করবে যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যে তালেবান দেশটির বিভিন্ন এলাকা দখলে নিচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্র সেনা প্রত্যাহার করার প্রক্রিয়ার শুরুর পর থেকে গত দুই মাসে দুশর বেশি জেলা দখলে নিয়েছে তালেবান।  সম্প্রতি তারা দেশের গুরুত্বপূর্ণ কিছু স্থলবন্দরও দখলে নিয়েছে।  এ ছাড়া তালেবানের দাবি, তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে দেশটির ৮৫ শতাংশ এলাকা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *