তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা তুলে মানুষের ভোটাধিকারকেই কেড়ে নেওয়া হয়েছে -ভাসানী অনুসারী পরিষদ ও গণসংহতি আন্দোলন।

ভোটারহীন ফাঁকা ভোটকেন্দ্র
ভোটারহীন ফাঁকা ভোটকেন্দ্র

ভোটাধিকারকে একটি স্থায়ী অধিকার হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এ জন্য প্রথমত, নির্বাচন কমিশনের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করতে হবে। দ্বিতীয়ত, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করতে সাংবিধানিক পদে নিয়োগের জন্য স্বাধীন কমিশন গঠন করতে হবে। আর সংসদে সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। এদিকে দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা তুলে দিয়ে মানুষের ভোটের অধিকারকেই কেড়ে নেওয়া হয়েছে।

‘নাগরিকদের ভোটাধিকার ও স্বাধীন নির্বাচন কমিশন কোন পথে’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। আজ রোববার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর–রুনি মিলনায়তনে যৌথভাবে এ সভার আয়োজন করে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন, ভাসানী অনুসারী পরিষদ ও গণসংহতি আন্দোলন।

আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘জনগণ দেশের মালিক, কিন্তু জনগণ তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত। আমাদের পক্ষে কথা বলার কেউ নেই। আমি এমপি হলেও আমার কিছু করার ক্ষমতা নেই। আমাদের নির্বাচন কমিশনকে পুলিশ স্যালুট দেয় বটে, কিন্তু কনস্টেবলও তাকে মানে না। আমাদের সবাইকে সম্মিলিতভাবে রাস্তায় নামা ছাড়া কোনো উপায় নেই।

জাফরুল্লাহ চৌধুরী আরও বলেন, বাংলাদেশের কিছু আমলা আছেন, জনগণের টাকায় চলেন, কিন্তু কাজ করেন ভারতের হুকুমে। বিদেশি গোয়েন্দা বাহিনীর তৎপরতা ক্রমে বাংলাদেশে সক্রিয় হয়ে উঠছে বলেও উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের উদাহরণ টেনে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, জনগণের স্বার্থের অনুকূল কোনো আইন তৈরির ক্ষমতা এই সরকারের নেই। তাই আইন করে নির্বাচন কমিশন সংস্কার করা যাবে না। সংকট উত্তরণে তিনি সব রাজনৈতিক দলকে নিয়ে রাজনৈতিক সমঝোতার প্রস্তাব দেন।

রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সদস্য হাসনাত কাইয়ুম বলেন, বর্তমান সংকট শুধু ভোটাধিকারের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখলে হবে না; বরং পুরো রাষ্ট্র ও সংবিধান সংস্কারের মাধ্যমেই স্থায়ী সমাধানের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ তুলে ধরে ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব রফিকুল ইসলাম বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন নির্বাচনে মানুষ ভোটের মাধ্যমে তাদের সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। কিন্তু তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা তুলে দিয়ে মানুষের ভোটের অধিকারকেই কেড়ে নেওয়া হয়েছে।

আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বীর মুক্তিযোদ্ধা নইম জাহাঙ্গীর, গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী (ভারপ্রাপ্ত) আবুল হাসান ও ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সাদিয়া আরমান প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য জুলহাসনাইন বাবু।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *