খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত : আইনমন্ত্রী

খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের দেয়া স্মারকলিপি নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

এ ব্যাপারে সময় চেয়ে তিনি বলেছেন, ‘আপনারা যে স্মারকলিপি দিয়েছেন, সেটা পড়েই দিয়েছেন। এটা আমি অবশ্যই এক্সামিন করবো। এখানে সিদ্ধান্ত এবং মতামতের ব্যাপারে আলোচনার প্রয়োজন আছে এবং সেটাও আমরা করবো।’

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতে আইনজীবীদের কাছ থেকে স্মারকলিপি পাওয়ার পর তিনি এসব কথা বলেন।

মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমানের নেতৃত্বে আইনজীবীদের ১৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল মন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করে এ স্মারকলিপি দেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘এখানে আমি শুধু স্মরণ করিয়ে দিতে চাই একটি কথা, যখন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা হয়, তখন কিন্তু উনার পরিবারের যে আবেদন সেটাকে মানবিক দিক থেকেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেখেছেন। তখন কিন্তু কোনো দাবি তুলতে হয়নি, উনি নিজেই উনাকে মুক্ত করেছিলেন। তো সেক্ষেত্রে আমি বলবো যে, মানবিকতার কমতি আমাদের নাই। আমরা মানবিকতা দেখাতে জানি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিশ্চয়ই মানবিকতা দেখাতে জানেন।’

আনিসুল হক বলেন, ‘আমি মনে করি, আজকেই এখন প্রিমিচিউর আপনাদেরকে যদি কিছু বলে দেই, সঠিক হবে না। আমাকে একটু সময় দেন। আমি এটা নিয়ে আলাপ-আলোচনা করবো।’

কেউ জানে বেঁচে না থাকুক, এটা আমাদের উদ্দেশ্য নয়-এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, উনার চিকিৎসা এখানে হচ্ছে, সেটা আপনারা জানেন, আমিও জানি। আমি অস্বীকার করবো না।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমি এটা নিয়ে আলাপ-আলোচনা করি। আমি অবশ্যই এই সিদ্ধান্ত নেয়াটা যতটুকু গুরুত্ব দিয়ে নেয়া যায়, সেভাবেই আমরা সিদ্ধান্ত নেব।’