বিএনপির দণ্ডিত নেতারা বিদেশে চিকিৎসা নিতে পারলে খালেদা কেন নয়: গয়েশ্বর
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় জানান, তাঁদের দলের অনেক নেতা দণ্ডিত। এরপরও তাঁরা জামিনে মুক্ত এবং তাঁরা প্রায়ই বিদেশে চিকিৎসা নিতে যান। তবে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কেন বিদেশ গিয়ে চিকিৎসা নিতে পারবেন না সেই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আজ শুক্রবার খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে ‘নাগরিক অধিকার আন্দোলনের’ আলোচনা সভায় এসব কথা জানান গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
খালেদা জিয়ার পাসপোর্ট নবায়নের আবেদন বাতিল প্রসঙ্গে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় জানান, দণ্ডিত আসামি যদি পাসপোর্ট পাওয়ার অধিকার না রাখে তাহলে আবেদন গ্রহণ করেছিলেন কেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় জানান, খালেদা জিয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী, জন্মসূত্রে বাংলাদেশের নাগরিক এবং জামিন পাওয়া তাঁর নাগরিক অধিকার। ৪০১ ধারায় বিদেশে না যাওয়ার যে শর্ত দেওয়া হয়েছে, সেই শর্ত প্রত্যাহার করা যায়।
বিএনপির নেতা–কর্মীদের উদ্দেশ্যে গয়েশ্বর জানান, ‘অফেন্স ইজ দ্য বেস্ট ডিফেন্স। প্রধানমন্ত্রীর পতনের আন্দোলন করেই খালেদা জিয়ার মুক্তি হবে।
এ ছাড়া সদ্য পদত্যাগ করা তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান ইস্যুতেও কথা বলেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, শুনলাম আওয়ামী লীগ তাঁকে (মুরাদ হাসান) বহিষ্কার করেছে। এমনও শুনলাম তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, কিন্তু কালকে তিনি ফ্লাই করেছেন। এর অর্থ, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে মুরাদ অপরাধ করেছেন, প্রধানমন্ত্রীই তাঁকে রক্ষা করার জন্য নিরাপদ জায়গায় পাঠিয়ে দিয়েছেন।
নাগরিক অধিকার আন্দোলনের উপদেষ্টা সাঈদ আহমেদ আসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, ওলামা দলের আহ্বায়ক শাহ নেসারুল হক প্রমুখ বক্তব্য দেন।