শেখ হাসিনাকে একদিন বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে: গয়েশ্বর চন্দ্র রায়
সরকার প্রধান শেখ হাসিনাকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি’র জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
তিনি বলেছেন, এখন শত অপরাধের জন্য যদি ক্ষমাপ্রার্থী হন এবং প্রায়শ্চিত্ত করেন এবং সরকার থেকে পদত্যাগ করে সংসদ বিলুপ্ত করে নির্বাচনের ঘোষণা দেন, নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের ঘোষণা দেন, দেখবেন দেশের মানুষ আপনার (শেখ হাসিনা) প্রতি সহানুভূতিশীল হবে। ভোট হয়তো আপনাকে না-ও দিতে পারে, কিন্তু ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার সুযোগ দিলে মানুষ সন্তুষ্ট হতে পারে। তাতে দেশে বসবাস করার একটি পরিবেশ সৃষ্টি হতে পারে। সে পথ আপনি অবলম্বন করবেন কি না তা আপনার বিবেচ্য বিষয়। এটি ছাড়া অন্য কোনো পথ খোলা নেই আপনার জন্য। বিচারের কাঠগড়ায় একদিন আপনাকে (শেখ হাসিনাকে) দাঁড়াতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি), দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে ‘ফেলানী এবং সীমান্ত’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।সভার আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, খালেদা জিয়াকে বিনা অপরাধে জেল দেওয়া হয়েছে। জামিন দেন নাই, চিকিৎসা করার সুযোগ দিচ্ছেন না। যে দৃষ্টার্ত স্থাপন করছেন তা অনুরুপভাবে তারা যদি আপনার পথ অনুস্মরণ করে তাহলে আপনার পথ কতটুকু ভয়াবহ তা নিশ্চিয়ই পরিমাপ করা যায়।
সরকারে যতদিন আছে আওয়ামী লীগও ঠিক ততদিনই থাকবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, সরকার না থাকলে আওয়ামী লীগও থাকবে না। ৭১ সালে যেমন কাউকে কাউকে বাসাবাড়ির সামনে লিখে রাখতে দেখা গেছে— ‘এখানে রাজাকার নেই’, তেমনি রাস্তার মোড়ে বিলবোর্ডে লেখা থাকবে— ‘এখানে আওয়ামী লীগ নেই’।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সমালোচনা করে তিনি বলেন, অন্য দেশে অপরাধ হচ্ছে বলে আমাদের দেশেও অপরাধ হতে পারে, সেই লাইসেন্স আপনাকে কে দিয়েছে? আমেরিকা আমাদের দেশের সাতজনের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। আপনি কি তাদের কারো কারো বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন?
তিনি আরও বলেন, মাত্র সাতজনের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞায় দেশব্যাপী তোলপাড়। একটি অংশের বুকে কাঁপুনি ধরেছে, আর বৃহত্তর অংশ আশার আলো দেখছে। কারণ দুষ্ট দমনে আমরা ব্যর্থ হলেও গণতান্ত্রিক বিশ্বের চোখ কান খোলা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিদিন কারো না কারো ভিসা বাতিলের খবর উঠে আসছে। দিনদিন পথ রুদ্ধ হচ্ছে। তারপর দেখা যাবে শেখ হাসিনা স্বয়ং নিস্তার পায় কিনা? তিনি নিস্তার পেলেও তার সন্তানরা রেহাই পায় কিনা সে বিষয়ে আশঙ্কা রয়েছে।