বিশ্ববাজারে তেলের দাম বাড়লে আমরা কী করব : বাণিজ্যমন্ত্রী
বিশ্ববাজারে গত এক থেকে দেড় বছরে টন প্রতি ভোজ্যতেলের দাম ছয় শ থেকে তেরো শ ডলার বেড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেছেন, বিশ্ববাজারে তেলের দাম বাড়লে আমাদের তেমন করার কিছু থাকে না। সরকার শুধু কমদামে টিসিবির মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করতে পারে।
আজ শনিবার রংপুর আরডিআরএস চত্বরে বেগম রোকেয়া মিলনায়তনে ‘রংপুর সংলাপ-জাতীয় উন্নয়নে অঙ্গীকার : শিক্ষা, শোভন কর্মসংস্থান, জেন্ডার সমত’ শীর্ষক আলোচনাসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন এর সহযোগিতায় এই সংলাপের আয়োজন করে সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ–সিপিডি। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির যুগ্ম পরিচালক (ডায়লগ ও আউটরিচ অভ্র্র ভট্টাচার্য।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ভোজ্যতেলের নব্বই শতাংশ আমদানি করা হয় বিদেশ থেকে। শুধু দশ শতাংশ আমাদের দেশে উৎপাদিত হয়। এই নব্বই শতাংশ দেশে আনেন ব্যবসায়ীরা। ব্রাজিল-মালয়েশিয়াসহ যেসব দেশ থেকে আমরা তেল আমদানি করি সেসব দেশে তেলের দাম বেড়েছে অনেক। সরকার এখানে কী করতে পারে। ব্যবসায়ীরা তো আর লোকসান দিড়য়ে তেল বিক্রি করতে পারবে না।তিনি আরো বলেন, আমরা যেটা পারি তা হলো টিসিবির মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করতে। আমরো তাই করছি। রোজার মাসকে রেখে আমরা এককোটি মানুষকে টিসিবি থেকে তেল, ডাল, আটা দেওয়ার চিন্তা করছি। প্রধানমন্ত্রী বিশয়টিতে আন্তরিক।
নির্বাচনী ইশতেহার নিয়ে তিনি বলেন, ইশতেহার একটি দলিল। এই দলিল অনুযায়ী সরকার কাজ করেছে এবং আমাদের কাজ করার সদিচ্ছা আছে। সামনে আরো কাজ করব। তবে যত দ্রুত কাজগুলো করা দরকার ছিল হয়তো ততটা দ্রুত করতে পারিনি। আমরা বিশ্ব বাজারে তেলের দাম কমার অপেক্ষায় আছি।
এর আগে সূচনা বক্তব্যে সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, নির্বাচনী ইশতেহার একটি চুক্তি। কারণ নির্বাচনের সময় কোনো দলের পক্ষ থেকে যখন নির্বাচনী ইশতেহার দেওয়া হয় তখন তারা তা লিখিতভাবেই দেয়। আমি মনে করি দলগুলো যখন নির্বাচনী ইশতেহার দেবে তখন তারা সতর্কভাবে দেবে। দেশের মানুষের কথা চিন্তা করে, দেশের প্রতিটি অঞ্চলের কথা চিন্তা করে ইশতেহার দিতে হবে।
তিনি আরো বলেন, দেশে এখনও সুষম উন্নয়ন হয়নি। বিশেষ করে রংপুর অঞ্চল উন্নয়নের দিক থেকে অনেকটা পিছিয়ে। স্বাধীনতার পর থেকে এই অঞ্চল নানাভাবে পিছিয়ে আছে। সুতরাং আমি মনে করি কোনো বৈষম্য না করে সবদলের উচিত এই অঞ্চলের উন্নয়নের জন্য কাজ করা।