র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা, ভারতের কাছে সহযোগিতা চাওয়ায় যা বললেন ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘এই সরকারের অবস্থা এতটাই দেউলিয়াপনা হয়েছে যে র‌্যাবের ওপর আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা তোলার জন্য ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সহযোগিতা চেয়েছে। কিন্তু এই গুম-খুন হত্যার নির্দেশদাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে ভারতের কাছে সহযোগিতা চাওয়ায় এই সরকারকে ধিক্কার জানাই।’ 

‘এই সরকার সংবিধানকে পাশ কাটিয়ে ঠিক বাকশালের মতো একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করেছে। গণতন্ত্রের লেবাস ধরে একদলীয় শাসন চালু করেছে। এই সরকার আরও একবার ক্ষমতায় এসে স্যার গঠন করে রাজনৈতিক দল ও গণমাধ্যম বন্ধ করে দিয়েছিল। রাজনৈতিক দলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। এমন গণতন্ত্রের লেবাস পরিধান করে একই কাজ করে আসছে বিরোধী দলকে দমন করার জন্য, ৩৫ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে।’ 

‘চৌধুরী আলমসহ অসংখ্য নেতাকর্মীকে গুম করেছে। এই সরকার মানবাধিকার লঙ্ঘনের কারণে আমেরিকার সরকার গুম-খুন-হত্যার সঙ্গে যারা জড়িত ৮ জনের বিরুদ্ধে আমেরিকায় ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। আর সেই নিষেধাজ্ঞা তোলার জন্য সরকার নানা জায়গায় ধরনা দিয়ে চলছে।’

শুক্রবার বিকালে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার মেঘনা ঘাট এলাকায় সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপি আয়োজিত ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির উদ্যােগে আয়োজিত আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান। 

সোনারগাঁও থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম রবি, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান, জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি মোশারফ হোসেন, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক খায়রুল ইসলাম সজিবসহ জেলা ও উপজেলার বিএনপির বিভিন্ন নেতারা।

অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আরও বলেন, বর্তমান সরকারের একদলীয় শাসন ব্যবস্থা থেকে দেশের মানুষকে মুক্ত করতে হলে সব রাজনৈতিক দলকে  একত্রিত করে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।  ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারের পতন ঘটিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন আদায় করে নতুন সংসদ ও সরকার গঠন করতে হবে। 

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বিষয়ে সরকারের সিন্ডিকেটের কঠোর সমালোচনা করে ফখরুল বলেন, ‘দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। বছরের তিন থেকে চারবার গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ার কারণে দ্রব্যমূল্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম আরও বাড়ছে, যা মানুষের জন্য অসহনীয় হয়ে উঠেছে।’