হীরক রাজার দেশের এক ইউনুস
আব্দুল্লাহ আল হোসাইন, যুক্তরাজ্য
খবর-১ঃ নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলার পুরুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা সোহান মোল্লার বাড়ি থেকে একটি ৪.৫ ক্যালিবারের অবৈধ নাইট্রো রাইফেল (টেলিস্কোপ ও সাইলেন্সারযুক্ত) উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী।
কথা হচ্ছে, সেনবাহিনী চাইলে ডিজিএফআই এর মাধ্যমে এই রাইফেলের ঠিকানা ঠিকুজি (আমদানিকারক, কোথায় কোথায় ব্যবহৃত হয়েছে, সোহান মোল্লার হাতে কিভাবে গেল ইত্যাদি) সবই সর্বোচ্চ ৭২ ঘন্টার মাঝে বের করতে পারে। কিন্তু সেনাবাহিনী কি এটা করবে? এর আগেও বেশ কয়েক জায়গা থেকে স্নাইপার উদ্ধার হলেও পরবর্তীতে সেগুলোর তদন্ত নিয়ে কোন আপডেট পাওয়া যায়নি। স্নাইপার উদ্ধারের মতো সেনসিটিভ বিষয়েও কেন এই ঢাক ঢাক গুড় গুড় অবস্থা?
খবর-২ঃ ৬০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত দেশের আধুনিকতম সরকারি চক্ষু হাসপাতাল চক্ষু বিজ্ঞান ইউন্সটিটিউট এর দখল নিয়েছে কথিত বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের টোকাই যোদ্ধারা। গত ১০ মাস ধরে তারা প্রতিষ্ঠানটিতে নিজেদের বসত বাড়িতে পরিণত করেছে। করছে দালালি ও তদবির বাণিজ্য। বর্তমানে অবস্থান করা সবাইকে রিলিজ দেয়া হলেও তারা হাসপাতালে ছাড়ছে না। অনেকে পরিবার সহ বসবাস শুরু করেছে। এই টোকাইদের আক্রমনের কারণে হাসপাতালটির ডাক্তার নার্সরা কর্মবিরতিতে গিয়েছে। ফলে চিকিৎসা বঞ্চিত হচ্ছে হাজারো সাধারন মানুষ। টোকাইদের দাবি তাদের ইউরোপ-আমেরিকায় সেটেল করতে হবে, ঢাকা শহরে ফ্ল্যাট দিতে হবে ইত্যাদি ইত্যাদি।
কথা হচ্ছে, ৫০ জন টোকাই এর হাতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী জিম্মি হয়ে গেল কেন? কেন তাদেরকে বের করার ব্যপারে সেনাবাহিনীও কোন কার্যকর উদ্যোগ নিতে পারছে না? নাকি তারা আন্দোলনের পেছনের বিষয়ে হাটে হাড়ি ভাঙ্গার ভয় দেখিয়ে এই ত্রাসের রাজত্ব চলমান রেখেছে?
খবর-৩ঃ থাইল্যান্ডে চিকিৎসা শেষে দেশের ফিরেছে সাবেক মহামান্য রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ। অনেকটা ঘোষণা দিয়ে এবং গ্রেফতারের ঝুঁকি মাথায় নিয়েই তিনি দেশে ফিরেছেন গতকাল রাতে। তবে তাকে গ্রেফতার করা হয়নি। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র অপদেষ্টা জাহাঙ্গীর বলেছেন সাবেক রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে কোন গ্রেফতারি পরোয়ানা কিংবা প্রমাণিত অপরাধ না থাকায় গ্রেফতার করা হয়নি। যথার্থ বলেছেন।
কিন্তু কথা হলো, আব্দুল হামিদ বিদেশে যাবার ঘটনাকে কেন্দ্র করে কেন আওয়াজ তোলা হয়েছিল? স্বরাষ্ট অপদেষ্টা কেন বলেছিলেন উনাকে ইন্টারপোলের মাধ্যমে ফিরিয়ে আনা হবে? যার বিরুদ্ধে দেশেই কোন ওয়ারেন্ট নাই তাকে ইন্টারপোলের মাধ্যমে কোন তরিকায় ফেরত আনা হতো? কিভাবে বিদেশে গেলেন সেটার তদন্তে কেন কমিটি গঠন করা হয়েছিল? কেনই বা ইমগ্রেশন পুলিশের দুই কর্মকর্তাকে শাস্তি দেয়া হয়েছিলো? সেই কমিটির রিপোর্টের এখন কি অবস্থা?
হীরক রাজার দেশের এমন নিত্য নতুন খবর পেতে বাটপার ইউনুস সরকারের সাথেই থাকুন!

