জুলাইয়ে ধর্ষণের শিকার ৭৩ নারী-শিশু
দেশজুড়ে জুলাই মাসে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন মোট ৭৩ জন নারী ও শিশু-কিশোরী। আজ সোমবার বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানান হয়।
সংগঠনটির কেন্দ্রীয় লিগ্যাল এইড উপ-পরিষদে সংরক্ষিত ১৩টি দৈনিক পত্রিকায় জুলাই মাসে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে এই বিবৃতি প্রদান করা হয়।
ধর্ষণের শিকার ৭৩ জনের মধ্যে ৪৮ জন কন্যা।
তার মধ্যে ১০ জন কন্যা ও নয়জন নারীসহ ১৯ জন দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে, একজন কন্যা ও দুইজন নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে এবং একজন কন্যা ধর্ষণের পর আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া ৯ জন কন্যাসহ ১৩ জনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
এ ছাড়া দেশজুড়ে গত জুলাই মাসে মোট ২৯৫ জন নারী ও কন্যা ধর্ষণ, যৌন নিপীড়ন, যৌতুক, এসিড নিক্ষেপসহ বিভিন্ন ধরনের নির্যাতনের শিকার হয়েছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, গত মাসে ১১ জন যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে, এর মধ্যে আটজন কন্যা। নয় জন উত্ত্যক্তকরণের শিকার হয়েছে, এর মধ্যে আটজন কন্যা। নারী ও কন্যা পাচারের ঘটনা ঘটেছে ছয়টি, এর মধ্যে চারজন কন্যা। এসিডদগ্ধের শিকার হয়েছে একজন, তিনজন অগ্নিদগ্ধের শিকার হয়েছে।
এতে বলা হয়, যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার হয়েছে ১৬ জন, এর মধ্যে পাঁচজনকে যৌতুকের কারণে হত্যা করা হয়েছে। শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে মোট ১৮ জন এর মধ্যে সাতজন কন্যা। পারিবারিক সহিংসতা শিকার হয়েছে ছয়জন। গৃহকর্মী নির্যাতনের শিকার হয়েছে দুইজন এর মধ্যে একজনকে হত্যা করা হয়েছে। বিভিন্ন কারণে নয়জন কন্যাসহ ৪২ জনকে হত্যা করা হয়েছে। এ ছাড়া একজন কন্যাসহ দুইজনকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। আটজন কন্যাসহ ২৭ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। ছয়জন কন্যাসহ ১৭ জনের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে, এর মধ্যে দুইজন কন্যাসহ চারজন আত্মহত্যার প্ররোচনার শিকার হয়েছে।
আটজন কন্যাসহ নয়জন অপহরণের ঘটনার শিকার হয়েছে। এ ছাড়া একজন কন্যাকে অপহরণের চেষ্টা করা হয়েছে। ফতোয়ার ঘটনার শিকার হয়েছে চারজন। চারজন কন্যাসহ সাইবার অপরাধের শিকার হয়েছে ছয় জন। বাল্যবিবাহের ঘটনা ঘটেছে ১০টি। এ ছাড়া তিনজন কন্যাসহ আটজন বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছে।