গয়েশ্বর বললেন
সরকার গুলি করবে আর আমরা কী বসে বসে বাদাম খাব?
সরকার গুলি করবে আর আমরা বসে বসে চীনা বাদাম খাব, এটা হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। আজ সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ভোলায় যদি সরকারের নির্দেশ না থাকত তাহলে সেখানকার এমপি সাসপেন্ড হত। যারা গুলি করেছে তারা ডিপার্টমেন্টে ক্লোজড হতো।
করেছে? হয় নাই। তাই বুঝতে হবে এটা সরকারের নির্দেশে হয়েছে। অর্থাৎ আগুন লাগাবে। আর বিভিন্ন জায়গায় গুলি করে আমাদের সাজা দেবে, মেরে ফেলবে আর আমরা বসে বসে বিস্কুট হাতে নিয়ে চীনা বাদাম খাব আর চুড়ি পরব। এটা হয় না, এটা কোনোমতেই হয় না।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে গয়েশ্বর বলেন, দলের যত সংগঠন আছে, যে যেখানে আছে সবাইকে একত্রিত করে মাঠে নামতে হবে। আবদুর রহিম (ভোলার স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা) স্বেচ্ছাসেবক দলের জন্য জীবন দেয় নাই, রহিম জীবন দিয়েছে দলের জন্য, রহিম জীবন দিয়েছে দলের কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে। আমি বলব, এই আত্মত্যাগ থেকে আপনারা শিক্ষা নিয়ে আমাদের যে ধরনের প্রোগ্রাম দেওয়া দরকার সেই ধরনের প্রোগ্রাম দিয়ে জবাব দিতে হবে।
দেশের মানুষের মিছিল করার অধিকার সাংবিধানিক অধিকার-একে বাধা দেওয়ার অধিকার পুলিশের নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, যারা ভোলায় সমাবেশে গুলি করেছে একদিন তাদের জনগণের আদালতে দাঁড়াতে হবে।
তিনি বলেন, রহিমের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে গতকাল থেকে শোকের মাস শুরু। এই শোককে শক্তিতে পরিণত করে দেশের শত্রুকে জবাব দেওয়ার জন্য সবাইকে প্রস্তুতি নিতে হবে। আঘাত করলে পাল্টা আঘাত করতে হবে। আমরা একসময় যুদ্ধ করেছি, দেশটা স্বাধীন করেছি। আজকে আগামী দিনগুলো আপনাদের। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, টেক ব্যাক বাংলাদেশ। অর্থাৎ বাংলাদেশকে বাংলাদেশের জায়গা ফিরিয়ে নিতে হবে। আপনাদেরই লড়াই করে দেশটাকে তৈরি করতে হবে। সেজন্য আন্দোলন বেগবান করতে হবে, আমাদের লক্ষ্য অর্জন করতে হবে।
সীমান্তে হত্যার ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে গয়েশ্বর বলেন, বর্ডারে প্রায়ই লোক মারা যায়। ওখানে কিন্তু একটা গুলিও ফোটে না। আর বিদেশ থেকে এই গুলি কেনা হয় আমাদের জনগণের টাকায়। জনগণের রক্ষায় গুলি ফোটে না।
জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে ভোলায় সংগঠনটির নেতা আবদুল রহিম পুলিশের গুলিতে নিহত হওয়ার প্রতিবাদে এই সমাবেশ হয়। স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজের পরিচালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় নেতা গোলাম সারওয়ার, ইয়াসীন আলীসহ নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।