পাকুন্দিয়ায় বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষ, মামলায় আসামি ১৫০০
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। মামলায় আসামি করা হয়েছে দেড় হাজার জনকে। এ সংঘর্ষের ঘটনায় বিভিন্ন এলাকা থেকে ২০ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার (০৩ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাতে পাকুন্দিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহ কামাল বাদী হয়ে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় পাকুন্দিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট জালাল উদ্দিনকে প্রধান আসামি করে ১৪০ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ১৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সারোয়ার জাহান মামলার বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন।
ওসি বলেন, শনিবার বিএনপির সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের অনুমতি ছিল না। তারপরও সৈয়দগাঁও চৌরাস্তা থেকে মিছিল নিয়ে তারা পাকুন্দিয়া বাজারের দিকে আসতে চাইলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। কয়েক ঘণ্টা ধরে দফায় দফায় চলা এ সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতে শতাধিক রাবার বুলেট ও টিয়ার গ্যাস ছোড়া হয়। সংঘর্ষে আমাদের ১১ জন পুলিশ সদস্য আহত হন।
এদিকে পাকুন্দিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট জালাল উদ্দিন বলেন, পুলিশ বিনা উসকানিতে আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে। এছাড়া আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরাও পুলিশের সঙ্গে যুক্ত হয়ে আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। এ ঘটনায় আমাদের দলের প্রায় দেড় শতাধিক নেতাকর্মী আহত হন। পুলিশের গুলিতে আমাদের দুইজন কর্মী গুরুতর আহত হন। তাদের একজন ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিউইতে চিকিৎসাধীন।
প্রসঙ্গত, পূর্ব ঘোষিত কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে শনিবার (০৩ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পাকুন্দিয়া উপজেলা বিএনপি সৈয়দগাঁও চৌরাস্তা থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে পাকুন্দিয়া বাজারের দিকে আসতে চাইলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে বিএনপি, পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়।