ভন্ড সাধু হাসিনা

এম ডি আসাদ উজ্জামান খান, যুক্তরাজ্য থেকে

প্রথমবার ভোট কারচুপি করেও পরবর্তীতে বিনা ভোটে ক্ষমতায় আসে হাসিনার আওয়ামীলীগ। আবার কি হাসি হাসি চেহারা নিয়ে মিডিয়ার বলে ভোট নিরপেক্ষ হইছে। মানুষ তো বোকা তাই না। যতই আল্লাহর নাম নিক না কেন মানুষ বোঝে তার ভন্ডামী। আমার তো মনে হয় এখনকার বাবা মা ছেলে মেয়েরে আলাদা করে কোন ভন্ড বা চোরের গল্প শোনায় না। হাসিনা যা যা দেশে বর্তমানে করছে, তা শোনালেই ভন্ড, দুইনম্বর আর চোরের গল্প শোনা হয়ে যাবে।

আমরা যদি পত্রিকা খুলি তাহলেই শত শত সব দুর্নীতির খবর আমরা দেখতে পাই। যেন তেন সব দুর্নীতি না, একেবারে বিশ্ব রেকর্ড করার মত দুর্নীতি! লাখ টাকা দিয়ে সিলিং ফ্যান কেনা হচ্ছে! তাও আবার ভিক্ষার টাকায়। কোন বিচার নেই, ঠেকানোর উদ্যোগ নেই। অথচ শ্যামল কান্তিকে জেলে পাঠানো হয়েছে ঘুষের অভিযোগে। অর্থমন্ত্রী না বলেছিলেন, ঘুষ বলে কিছু নেই, সব স্পীড মানি? অনেক দেশেই নাকি এমন ব্যবস্থা। তো নিরীহ শিক্ষক মশায়কে সেই বাবদে একটু ছাড় দিতে পারতেন।

গত কয়েক বছর আমরা দূর্নীতিতে প্রথম সাড়িতে আছি। আবার হাসিনা লাল পাড়ের শাড়ি পরে বিশ্ব মঞ্চে বলছে আমরা অর্থনীতিতে এগিয়েছি। তার সন্ত্রাসী ছাত্রলীগ, চোর আওয়ামীলীগ ও চামচা প্রশাসনের লোকরা বলছে হাসিনার কাজের জন্য তাকে নোবেল প্রাইজ দেওয়া উচিত। আমিও বলি দেওয়া উচিত, তবে ভন্ডামীর জন্য। দেশ বিক্রির জন্য ইতিহাসের ঘষটি বেগম পুরুষ্কার দেওয়া উচিত তাকে।

সরকার কেমনে বলে যে আমরা আন্তর্জাতিক নানা সূচকে বাংলাদেশ ব্যাপকভাবে এগিয়ে চলছে। আমাদের সরকার শুধুমাত্র সেসব সূচক বাড়ানোর জন্য জনগণের স্বার্থের বিপরীতে অনেকগুলো পদক্ষেপ নিয়েছে। দেশবাসী হিসাবে ঐসব সূচককে তাই আর বিশ্বাস হয় না। কিসের এমডিজি আর কিসের এসডিজি? মেয়েদের বিয়ের বয়সসীমা কমিয়ে যে ক্ষতিটা করেছে সরকার, তার ফল বহুত সুদূর প্রসারী। আজ থেকে ৫০ বছর, একশো বছর পর মাজা ভাঙ্গা একটা প্রজন্ম নিয়ে দেশ মাশুল গুনবে। তখন তো আর এই ক্ষমতাশীলরা থাকবেন না। শিক্ষ ব্যবস্থা ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়া হল। কাওয়ামী সনদেরর যদি সরকার স্বীকৃতিই দিবে, তাহলে বাংলা মিডিয়াম সিলেবাসে তাদের পরামর্শে পরিবর্তন করা হলো কেন? কোন উত্তর নেই। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য কি জাতির মেরুদন্ড ভেঙ্গে দিবেন? এমনই ক্ষমতার মোহ?

সেটাই চিন্তা করছি গত কয়েকদিন। একমাত্র ইসলামি সালতানাত কায়েম করা গেলেই ক্ষমতা পাকাপোক্ত করা যাবে। সেদিকেই চলছে শেখ হাসিনা। তার জন্য বাপের খুনি, মায়ের ধর্ষনকারীর সাথেও হাত মেলাতেও তার কোন বাঁধা নেই। সৌদী আর আমেরিকার সাথে চুক্তি করে তাই করলেন, জাতির জনকের কন্যা। বাপের রক্তের সাথে সবচেয়ে বড় বেঈমানী। ইতিহাস মনে রাখবে।

আজ তার করনে দেশ পিছিয়ে পরছে, কিন্তু এই ভয়াল নারীর সেই দিকে কোন খেয়াল নাই। দেশ বেচতে পারলে আর পরিবারের জন্য অর্থ বিদেশে পাঠাতে পারলেই তার সব কিছু। জনগনকে ঠকাতে ঠকাতে আজ দেশের প্রথম সাড়ির ভন্ড হিসেবে জনগনের মনে জায়গা করে নিয়েছে। তবে কেউ কিছু ভয়ে বলতে পারে না। কারন এই হাসিনা দেশের আইন-আদালত নিজের শাড়ির আচলে বেধে ফেলছে। শুধু কি ক্ষমতা দিয়ে না অন্য কিছু দিয়ে তা জানা নাই। কিন্তু বলারও নাই। এই জালিমের দেশে চুপ করে দেখা ছাড়া কি কোন উপায় আছে।