২০১৮ সালের রাতের ভোট
লিখেছেন রেদোয়ানুর রহমান
আমি গতকাল জানলাম যে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে নাকি রাতে ভোট হয় নি।১৭ কোটি মানুষের দেশে ভোট ডাকাতির কোনো ভিডিয়ো প্রমাণ নাকি নাই। সব নাকি সার্কামস্ট্যানশিয়াল এভিডেন্স। তিনটা এডাল্ট মানুষ এটা চুপচাপ শুনলেন। এই দেশের ৯ কোটি মানুষের সাথে করা এইরকম ফাতরামি তিনজন এডাল্ট একরকম মেনে নিলেন।নীচে একটা ভিডিয়ো দিলাম। এই ভিডিয়োটা বাইদাওয়ে ৭১ টিভির ক্লীপ। পাশের ছবিতে তারিখটা দেখেন ।
আমি অবশ্যই জানাবো না কে পাঠিয়েছিলো কিন্তু এই ক্লীপ ঐ সময়ে ৭১ টিভির সাংবাদিকরা দেখেন নাই – এইটা আমার পক্ষে বিশ্বাস করা কঠিন। শামা ঐ সময়ে ঠাকুরগাঁতে ছিলো। সবার ভোট দিয়ে দেয়া হয়ে গেছিলো। সকাল বেলা দশটার পর পুরা ঠাকুরগাঁ ফাঁকা ছিলো। আমি ব্যক্তিগতভাবে মিনিমাম ৫জনকে চিনি যারা ঐ রাতে একচুয়ালি তিনশ ভোট দিয়েছিলো। আমি বিএনপির প্রচুর নেতাকর্মী চিনি যারা ঐরাতের পর বহুদিন বাসায় ছিলো না, পালিয়ে ছিলো। অনেক নেতার প্রচুর সঞ্চয় খরচ হয়েছিলো ঐ এলেকশানে এবং তাদেরকে ঠকানো হয়েছিলো।
মিনিমাম ৫শ সাধারণ মানুষ আমি পেয়েছি তখন থেকে আজ পর্যন্ত – যারা ঐদিন সকালে ভোট দিতে গিয়ে জেনেছিলেন যে তাদের ভোট দেয়া হয়ে গেছে। এদের মধ্যে অনেক আওয়ামীও আছে। ১০/২০ জন লোকের কথা বলতে পারবো যারা বুথে গিয়েছিলেন কিন্তু তাদের ভোট আরেকজন দিয়ে বলেছে চাচা আপনার ভোট দেয়া হয়ে গেছে।আমার সামনে কেউ যখন বলে ২০১৮ সালে নির্বাচন ফেয়ার ছিলো – মাথায় আগুন ধরে যায়।
বাংলাদেশের শিক্ষিত মানুষদের নিয়ে আপনি কোনোদিন রিপাবলিক বানাতে পারবেন না। কারণ সব কিছু জেনেও এরা মিথ্যা বলবে। এরা ফ্যাশিজমকে ডিফেন্ড করতে গিয়ে নিজের আত্মা বিক্রি করে দেবে।একটা মানুষের সাথে আরেকটা মানুষের ডীলিংস এর কিছু ফান্ডামেন্টাল প্রেমিস আছে – জংলীদের মধ্যেও আছে। যেমন – মতামত যাই হোক আমরা দুইজনেই ফ্যাক্টকে অনার করবো। এবং ফ্যাক্টের গুরুত্ব অনুযায়ী পূর্বতন মত বদল করবো। আগে জানতেন না ঠিকাছে – কিন্তু আপনি যখন নিশ্চিতভাবে জানবেন যে পৃথিবী ও সূর্য দুইটাই ঘুরে – তখনও আপনি নিজের মনে মনে বিশ্বাস করতে পারবেন না যে সূর্য আসলে স্থির আছে – কিন্তু বিহারী ফাহামকে এভয়েড করার জন্য এখন চুপ করে থাকি – বাড়ী গিয়ে আবার বিশ্বাস করবো যে সূর্য, হালুরঘাইট্ট্যে দাড়ায় দাড়ায় পাছা চুলকাইতেছে।
মানুষ হিসাবে আপনার দায় আছে ফ্যাক্টের গুরুত্ব অনুযায়ী নিজের বিশ্বাসকে বদলানোর।জীবনে আপনি দুইএকটা আওয়ামী পাবেন যারা ফ্যাক্টকে অনার করে কিন্তু একটা আওয়ামীও আপনি পাবেন না যে ফ্যাক্টের গুরুত্ব অনুযায়ী নিজের বিশ্বাস বদলাবে। একটাও পাবেন না। আপনি জীবনে একটাও আওয়ামী পাবেন না যার মনের কোনো না কোনো জায়গায় মিথ্যার মর্তবা সত্যের উপরে নাই। একটাও পাবেন না। ৫০ বছর আগে কী হয়েছিলো – এটাই এদের জীবনের চূড়ান্ত বিবেচনা। আওয়ামী মাত্রই মিথ্যুক ও স্টান্টেড ডেভেলাপমেন্ট। যেই আওয়ামী কোনো কথা বলে না – এমন কি সেও মিথ্যুক – সে চুপ থেকে মিথ্যা বলছে – যেহেতু তার অনেক কিছু ছিলো বলার।পৃথিবীতে এমন কোনো সত্য নাই যা এদের অবস্থানকে টলাতে পারে। সেলফ-ইন্ট্রেস্ট ছাড়া কোনোকিছুই এগুলোর রক্ত সচল রাখতে পারবে না।
আমি অস্ট্রেলিয়াতে পিএইচডি করা আওয়ামী পেয়েছি যিনি মনে করেন যে ২০১৮ সালের নির্বাচন সহীহ ছিলো। প্রধানমন্ত্রী থেকে নিয়ে হরগঙ্গা কলেজের আর্দালি – কোনো আওয়ামী আপনি জীবনে পাবেন না যে সত্যকে ইনডেস্ট্রাকটেবল মেনে নিয়ে নিজের বিশ্বাস বদলায়। এরা নিজের বিশ্বাসকে ইনডেস্ট্রাকটেবল মেনে সত্যকে বদলায়।যাদের আত্মা নাই, তাদের আত্মার পীড়নও নাই। এই সুবিধার কারণেই আওয়ামীরা এতো সুন্দর বেঁচে থাকে। দরকার শুধু এক থালি ভাত।
আগুন, গোশ, পানি না থাকলেও অসুবিধা নাই – মুখের ভেতর লবন, জিরা, মরিচ ভরে ঐটি আপনার পাছায় কামড় দেবে – খাবলে নেবে। তারপর হে হে করে হাসবে। পাশেরটি গর্ব করে বলবে – জয় বাংলা। কাচা মাংসের টেস আলাদা। আমি শিওর যে ১৯৪৩ সালে প্রচুর জার্মান সাংবাদিক ছিলো যারা বলতো যে এতো ইহুদীকে গ্যাস চেম্বারে পুড়িয়ে মারা হোলো কিন্তু কোনো ভিডিয়ো লীক হোলো না, কোনো অডিয়ো লীক হোলো না। সাড়ে ৬ কোটি মানুষের দেশে সেটাও আমাকে ভী-ষ-ণ বিস্মিত করে।